 
                                            
                                                                                            
                                        
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৩৫৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১০৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। সঙ্গে হাতছাড়া হয়েছে সিরিজও।
২৪৯ রান তুলতেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস। ২ ওভার ১ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়েছে মাশরাফিরা।
ইমরুর কায়েসের আউটের পর শুধু বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়াটাই বেশি চোখে পড়েছে। তবে রান তাড়ার লক্ষে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ৪৪ রানের ওপেনিং জুটিতে গড়েন ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েস। তামিম ২৫ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৩ রান করে প্রিটোরিয়াসের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে গেলে ভাঙে এই জুটি। তিন নম্বরে নামা লিটন দাসও কিছু করতে পারেননি। ১২ বলে ১ চার ও দর্শনীয় ১টি ছক্কায় ১৪ রান করে ফেলুকওয়ায়োর শিকার হন তিনি।
এরপর ৯৩ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামাল দেন ওপেনার ইমরুল কায়েস এবং মুশফিকুর রহিম। ভালো খেলতে খেলতে ৬৮ রান করা ইমরুল কায়েস ইমরান তাহিরের বলে ভিলিয়ার্সের তালুবন্দী হলে ভাঙে এই জুটি।
ব্যাটিং ভরসার অন্য নাম সাকিব আল হাসানও ৫ রান করে ফিরে গেলে পরাজয়ের শংকা ফিরে আসে টাইগার শিবিরে। আশা ভরসার প্রতীক হয়ে থাকা মুশফিকুর রহিমও ৬০ রান করে প্রিটোরিয়াসের শিকার হন। ১৮৪ রানে প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারায় বাংলাদেশ।
মাহমুদ উল্লাহর সঙ্গী হওয়া সাব্বির রহমান ১৭ রান করে ইমরান তাহিরের বলে ক্যাচ দেন। তারপর ৩ রানে সাজঘরে ফিরেন নাসির হোসেন। আর কোনও রান যোগ না করেই মাশরাফি। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে মাহমুদ উল্লাহ (৩৫) ফেলুকওয়ায়োর বলে বোল্ড হয়ে যান। প্যাটারসনের বলে রুবেল হোসেন (৮) বোল্ড হয়ে গেলে ২৪৯ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ৪ উইকেট নিয়ে প্রোটিয়াদের সেরা উইকেট শিকারী ফেলুকওয়ায়ো। এছাড়া ইমরান তাহির ৩টি, প্রিটোরিয়াস ২টি আর প্যাটারসন ১টি উইকেট নেন।