ভিন্ন একটি কারণে অনন্য হয়ে থাকবে সদ্য বিগত হওয়া ২০১৯ সাল। গরমের কারণে সালটি নাম লিখিয়েছে রেকর্ডের পাতায়। ২০১৯ সাল এখন অফিসিয়ালি দ্বিতীয় উষ্ণতম বছর। এছাড়া বছরটিকে গত ২০ বছরের সবচেয়ে উষ্ণ বছর হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশ্ব তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ সংস্থা কপারনিকাস এমনটাই ঘোষণা দিয়েছে। তারা বলছে, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বাড়ছে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ, শক্তিশালী ও আবদ্ধ গ্যাসকেই দায়ী করেছে সংস্থাটি। ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, ফ্রান্স ও জার্মানিতে।
এক টুইট বার্তায় কপারনিকাস জানিয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসকে ইউরোপের সবচেয়ে উষ্ণ মাস হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। গড় তাপমাত্রার চেয়ে ৩.২ ডিগ্রি ফারেনাইট তাপমাত্রা বেড়েছে মহাদেশটিতে।
সংস্থাটি আরও জানায়, বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রার থেকে ২০১৯ সালে ০.৫৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। যেটি ২০১৫ সালের চেয়ে সামান্য কম হলেও বছরটি বিশ্ব ইতিহাসের দ্বিতীয় গরমের বছর হিসেবে নাম লিখিয়েছে। ২০১৫ সালে বিশ্বের গড় তাপমাত্রার চেয়ে ০.৬৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমনটা হচ্ছে জানিয়ে জলবায়ু বিশারদ আহিরা সানচেজ বলেছেন, ‘জলবায়ুর পরিবর্তনে এমন উষ্ণতা হচ্ছে। আমরা আরও ভয়াবহ উষ্ণতার আশঙ্কা করছি।’
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাপমাত্রার এ অস্বাভাবিক এ বৃদ্ধিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব। এর কারণে বিশ্বব্যাপী দাবানলের আগুনে পুড়ছে বনাঞ্চল। সমুদ্রের তাপমাত্রা বাড়ছে। গ্রিনল্যান্ডগুলো অস্বাভাবিক হারে গলে যাচ্ছে।