বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, বরিশালে কোনো গ্যাং কালচার গড়ে উঠতে দেওয়া হবে না। আমরা আগেই বলেছি, কাউকে নয়ন বন্ড হতে দেবো না। আর নয়ন বন্ড যেন কেউ হতে না পারে সেজন্য পরিবারকে আগে সচেতন হতে হবে। অভিভাবককে খেয়াল রাখতে হবে সন্তান কী করছে, কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে মিশছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে নগরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নতুল্লাবাদে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, দুর্নীতি, সাইবার ক্রাইম, বাল্যবিবাহ, যৌতুক ও ইভটিজিং বিরোধী কমিউনিটি পুলিশিং মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পুঁথিগত শিক্ষার বাহিরেও সন্তানের ভেতর দেশপ্রেম তৈরি হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে হবে। দিতে হবে নৈতিকতার শিক্ষা, যেন সে শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি একজন ভালো মানুষ হতে পারে।
‘আমরা চাই একটি আস্থাবান পুলিশি ব্যবস্থা গড়ে তুলেতে। তাই আমরা সেবার মান উন্নয়নে কাজ করছি। কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামকে শক্তিশালী করেছি। প্রতি তিনমাসে প্রতিটি বিদ্যালয়ে অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। থানাগুলোতে প্রতিমাসে নির্ধারিত তারিখে ওপেন হাউস ডে করছি।’
তিনি আরও বলেন, আমরা মাদক-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছি। অপরাধী যদি পুলিশ বাহিনীরও হয়, তবে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না। মনে রাখতে হবে মাদক একটা অভিশাপ। এটা সমাজ থেকে দূর করতে হবে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোকতার হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. খায়রুল আলম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. আব্বাস উদ্দিন প্রমুখ।
সভা শেষে টার্মিনাল এলাকায় সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, দুর্নীতি, সাইবার ক্রাইম, বাল্যবিবাহ, যৌতুক ও ইভটিজিংসহ যে কোনো অপরাধ প্রতিরোধে অভিযোগ বক্স স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।
এসময় তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক, মোবাইল ফোন, ই-মেইলের মাধ্যমেও অভিযোগ জানানো যাবে। আর পরিচয় গোপন রেখেও অভিযোগ বক্সে তথ্য দেওয়া যাবে।