রোববার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করলেও জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে। নদীর পানি এখন পর্যন্ত বিপৎসীমার নিচে রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বরিশাল নদী বন্দরে অভ্যন্তরীণ রুটের নৌ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। নগরের ডিসি ঘাট থেকে নিয়মিত চলছে স্পিড বোর্ড। তবে বৈরী আবহাওয়ায় কোন সুরক্ষা সরঞ্জাম নিতে দেখা যায়নি।
তবে ঝড় মোকাবিলায় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) রেডিও ওয়ার্কশপ ইনচার্জ মো. সোহাগ হোসেন।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এই মুহূর্তে সংকেত ৩ রয়েছে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি, জরুরি অবস্থা জারি করা হলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন তারা। বরিশাল বিভাগে মোট এক হাজার ৮৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও সিপিপির ৩২ হাজার ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।
এবিষয়ে বরিশাল রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ প্রস্তুতি রয়েছে। সমস্ত ভলান্টিয়াররা প্রস্তুত আছে।
মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং সব ধরনের নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদে অবস্থান করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তা।
বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক মাসুদুর রহমান বলেন, সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর ও নদী বন্দরে ২ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
রোববার বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করছে।