#

সিলেট-সুনামগঞ্জ বাইপাস সড়কে সুরমা নদীর ওপর অবস্থিত শাহজালাল তৃতীয় সেতু মেরামতে এবার বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) স্টিলের পাটাতনের পরিবর্তে সেতুর প্যানের জোড়ায় বাঁশ ব্যবহার করেছে সিলেট সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। সেতুর জোড়ার ফাঁকা জায়গায় বাঁশ দিয়ে তার ওপর বিটুমিনের প্রলেপ দিয়েছেন সওজের শ্রমিকরা।

বিশাল আকারের শাহজালাল তৃতীয় সেতুতে বাঁশ ব্যবহার করায় স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে সওজের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন- সেতু মেরামতের কাজে বাঁশ ব্যবহার একটি ক্ষণস্থায়ী সংস্কার কাজ। এতে কোনো ঝুঁকি নেই।

সেতুতে বাঁশ দিয়ে সংস্কার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, এ সেতু দিয়ে অতিরিক্ত ভারি বালু ও পাথরবাহী ট্রাক চলাচল করায় সেতুর জোড়া থেকে স্টিলের পাত উঠে গিয়ে ফাঁক হয়ে গেছে। স্টিলের পাত চুরি হয়ে যাওয়ায় পাটাতনের ফাঁকা জায়গায় বিটুমিন দিয়ে ভরাট করার জন্য স্টিলের পরিবর্তে বাঁশের ব্যবহার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সেতুটির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী সিলেট সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ-প্রকৌশলী মো. নূরুল মজিদ চৌধুরী বলেন, সেতুর জোড়ায় লোহার পাত দিয়ে লাগানো ক্লিপ ভেঙে যাওয়ায় তা চুরি হয়ে যায়। এজন্য ক্ষণস্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে বাঁশ দিয়ে বিটুমিন ঢেলে পিচ ঢালাই দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, অতিরিক্ত মালবাহী ভারি যানবাহন চলাচল করার কারণে জোড়া লাগানো স্টিলের পাতগুলো ভেঙে উঠে যায়। এর ফলে নতুন করে ওই পাতগুলো লাগানো সম্ভব হয় না, তাই বাঁশ দিয়ে বিটুমিন ঢেলে পিচ ঢালাই দেয়া হয়। কাজটি অবশ্যই ক্ষণস্থায়ী। তবে নষ্ট হয়ে গেলে আবার ঢালাই দেয়া হবে। এতে কোনো ঝুঁকি নেই।

নূরুল মজিদ চৌধুরী বলেন, শুধু সুরমা নদীর ওপর শাহজালাল তৃতীয় সেতুতে নয়, কুশিয়ারার ওপর শেরপুর সেতুসহ সুরমার ওপর নির্মিত অন্য সেতুগুলোতেও এভাবে বাঁশ দিয়ে সাময়িক মেরামতের কাজ আমরা করে থাকি।

এ বিষয়ে সিলেট সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. ইকবাল আহমদ বলেন, শাহজালাল তৃতীয় সেতু আমার দায়িত্বে নয়। তবে সেতুতে স্টিলের পাটাতনের বদলে অস্থায়ীভাবে বাঁশ দিয়ে বিটুমিনের পিচ ঢালাই করায় কোনো ঝুঁকি নেই। এটি নষ্ট হলে আবার করা হবে।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন