#

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দারাবাদে গণধর্ষণের পর তরুণী পশু-চিকিৎসক হত্যায় অভিযুক্ত চারজনই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, পুলিশ হেফাজত থেকে পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত এই চারজনের।

তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। সেখান থেকেই পালানোর চেষ্টা করে তারা। তারপরই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন হায়দরাবাদের পুলিশ কমিনশনার।

হায়দারাবাদ পুলিশের শীর্ষ সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে যে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আরিফ, নবীন, শিব এবং চেন্নাকসভুলু পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।

পুলিশ দাবি করেছে, যে জায়গাটিতে পশু-চিকিত্সককে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় সেখান থেকে কয়েক মিটার দূরে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে, গত বুধবার রাতে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে তেলেঙ্গানার ওই তরুণী চিকিৎসককে চার ট্রাকচালক ও ক্লিনার কৌশলে নিজেদের ফাঁদে ফেলে গণধর্ষণ করে। পরদিন সকালে ওই তরুণীর আগুনে পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদের অদূরে। শাদনগর নামক এলাকা দিয়ে স্কুটারে করে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী চিকিসৎক। মাঝ রাস্তায় স্কুটারের টায়ার ফেটে গেলে তিনি অভিযুক্ত ওই দুই ট্রাকচালকের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন।

প্রাথমিক তদন্ত শেষে স্থানীয় পুলিশ বলেছে, ধর্ষণের শিকার ২২ বছর বয়সী ওই তরুণী পশু-চিকিৎসককে হায়দরাবাদের অদূরের মফস্বল এলাকা শামশাবাদের তন্দুপল্লি টোল প্লাজার কাছে খুন করা হয়। তারপর ২৫ কিলোমিটার দূরে শাদনগর নামক এলাকার চাতানপল্লী সেতুর কাছে তরুণীর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলে ধর্ষকরা।

এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ধর্ষকদের জনতার হাতে তুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করে তেলেঙ্গানার হাজার হাজার মানুষ। শনিবার প্রদেশের রাজধানী হায়দরাবাদ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে শাদনগর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন তারা।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন