মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই সতিন, প্রথম স্ত্রীর পক্ষে স্বামী

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

সতিনের সংসার মানেই যেন ঠুনকো অজুহাতে কথা-কাটাকাটি লেগেই থাকা। একজন আরেকজনকে সহ্যই করতে পারেন না। কুড়িগ্রামে এ ঝগড়া এখন শুধু পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে গেছে নির্বাচনী মাঠেও।

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে লড়ছেন দুই সতিন। তারা হলেন-চন্দ্রখানা বুদারবান্নি গ্ৰামের ফজলু আলী ওরফে ফজু কসাইয়ের প্রথম স্ত্রী আঙুর বেগম এবং তৃতীয় স্ত্রী জাহানারা বেগম।

দুই প্রার্থীর স্বামী ফজলু কসাই বলেন, ‘আমার ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সমর্থন নিয়ে আঙুর ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তাই আমি এবং এলাকাবাসী তার জন্য ভোট চাচ্ছি। কিন্তু তৃতীয় স্ত্রী জাহানারাকে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও সে প্রথম স্ত্রী আঙুরের বিরুদ্ধে লড়ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার তৃতীয় স্ত্রী জাহানারাকে পার্শ্ববর্তী নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কুলারপাড় এলাকায় বাড়ি করে দিয়েছি। সে সেখানেই থাকে।’

ফজলুর তৃতীয় স্ত্রী জাহানারা বলেন, ‘২০১৭ সালের ইউপি নির্বাচনে স্বামীর সমর্থন নিয়েই আমি প্রার্থী হয়েছিলাম। সেবার ভোটের লড়াইয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলাম। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার সতিন স্বামীকে ফুসলিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে চাপ দিচ্ছেন। তবে আমি এতে ভীত নই। জনগণ আমার সঙ্গে রয়েছে। আমিই শেষ হাসি হাসবো।’

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) দুই সতিনই প্রতীক পেয়েছেন। বড় সতিন আঙুর পেয়েছেন কলম এবং জাহানারা তালগাছ প্রতীক।

স্থানীয়রা জানান, আগে থেকেই তিন স্ত্রীকে নিয়ে ফজলু কসাইয়ের দিনকাল ভালো যাচ্ছিল না। ঝগড়া বিবাদে বিপর্যস্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত জাহানারাকে আলাদা বাড়িতে রেখে তিনি প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা বাড়িতে বসবাস করছেন। এরপরও জাহানারা স্বামীর অমতে নির্বাচনে সতিনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামায় ফজলু কসাই তার প্রতি নাখোশ হয়েছেন।

আগামী ২৮ নভেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দুই সতিন ছাড়াও ওই ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে আরেক আঙুর বেগম, নুরি বেগম এবং আনজুমা বেগম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।