#

মোঃ শাহাজাদা হিরাঃ গায়ে দেওয়ার মতন কিছু ছিলনা শেখ হাসিনা আমাগো কম্বল দিছে। এমনি বিলাপ করে বলতে ছিলো ৬৫ বছরের ছালেহা বানু। গতকাল ২৮ জানুয়ারি দুপুর ১ টার দিকে জেলা প্রশাসক বরিশাল এস এস এম অজিয়র রহমান বিশেষ একটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য বাকেরগঞ্জ উপজেলায় উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। যাত্রা পথে আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর উপর দিয়ে যাবার পথে গাড়ি থেকে দেখতে পেলেন সেতুর নিচে যাযাবর বেদে সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস।

তারা পলিথিন দিয়ে তৈরী করে সেই ঘরে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। তখন তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসক সিদ্ধান্ত নিলেন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানবতার মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিল থেকে পাওয়া দরিদ্র ও অসহায় শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করার জন্য আসা শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করবেন। তিনি সন্ধ্যায় বরিশালে ফিরে পূর্ব নির্ধারিত একটি কর্মসূচি সম্পন্ন করার পরে।

জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে ছুটে যান মানবতার পাশে দাঁড়ানোর জন্য। এসময় উপস্থিত ছিলেন শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বরিশাল, মোঃ নুরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, আহসান মাহামুদ রাসেল, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরিশাল, মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরিশাল, মোহাম্মদ রবিন শীষ, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরিশাল, মোঃ আবদুল লতিফ, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা। সেখানে পৌঁছে জেলা প্রশাসক নিজেই প্রতিটা ঝুপড়ি ঘরে ঘরে গিয়ে দরিদ্র অসহায় যাযাবর বেদে সম্প্রদায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেন। সেখানে তিনি প্রায় ১২০ টি পরিবারের মাঝে প্রায় ৩০০ টি কম্বল বিতরণ করেন।

যে মানুষ গুলোকে সাধারণ মানুষ এড়িয়ে চলে, যারা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের হাতে তুলে দিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে আসা শীতবস্ত্র কম্বল। সরকারের একটি অন্যতম সুবিধা পৌছে দিলেন দরিদ্র মানুষের হাতে। কম্বল পেয়ে তারা বলেন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া কম্বল পেয়ে আমরা খুশিতে আত্মহারা। শেখ হাসিনা দরিদ্র মানুষের জন্য অনেক কিছু করেন আমরা তার জন্য দোয়া করি।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন