বৃদ্ধ ফুলচান পাহানের বয়স আশির কাছাকাছি। ভিক্ষা করে সংসার চলে তার। সম্বল বলতে ভাঙা একটি মাটির ঘর। সেই ঘরে ১৩ বছরের নাতিকে নিয়ে থাকেন তিনি।
সারাদিন নাতিকে নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভিক্ষা করে কোনো রকমে জীবন চলে তার। ফুলচান পাহানের বাড়ি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার আমাইড় ইউনিয়নের ডাসনগর আদিবাসী পাড়ায়।
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ঘরবন্দি হয়ে পড়েন ফুলচান পাহান। গত কয়েক দিন ঘরের বাইরে যেতে না পারায় তিনি অসহায় হয়ে পড়েছেন। এতে তার আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যায় এবং মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
ঘরে খাবার না থাকায় নাতিসহ কষ্ট করে দিন পার করতে হচ্ছিল তাকে। বিষয়টি নওগাঁর মানবিক পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়ার নজরে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল কুমারকে ওই বাড়িতে বাজার করে দেয়ার অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে পত্নীতলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল কুমার বলেন, রোববার দুপুর দেড়টার দিকে এসপি স্যার আমাকে মোবাইলে বিষয়টি অবগত করেন এবং তার বাড়িতে বাজার করে দিতে বলেন। স্যারের নির্দেশনা পেয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে চাল ১০ কেজি, আলু ১ কেজি, ডাল ১ কেজিসহ বিভিন্ন সবজি তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, ওই বৃদ্ধকে আশ্বাস দেয়া হয়েছে বাজার ফুরিয়ে গেলে আবারও বাজার করে দেয়া হবে। এছাড়া স্থানীয় ইউপি মেম্বার আমজাদ হোসেনকে বয়স্কভাতা ও ভিজিডির কার্ড প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। মেম্বার আমাকে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।