কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সহিংসতা এবং উপাচার্যের বাসভবনে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেছে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’।
বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরুল হক নূর এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা হয়রানি আশঙ্কা করছেন। তাই মামলা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
নূরুল হক বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার না করলে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করা হবে।
তিনি বলেন, আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের নানা রকম ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী এবং সক্রিয় ভূমিকা পালনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনুরোধ করছি।
এ সময় সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, রাশেদ খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্যের বাসায় হামলাকে কিছু দুষ্কৃতকারীর বিচ্ছিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে উপাচার্যের বাসায় যারা হামলা করেছে, সংবাদমাধ্যমের খবর, ছবি, ভিডিও এবং তথ্য নিয়ে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
এর আগে আন্দোলনকারীরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারে কর্তৃপক্ষকে দুইদিনের সময় দিয়েছিলেন। আবার সময় পরিবর্তন করার বিষয়ে আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক বলেন, আমরা কর্তৃপক্ষ এই সময় দিচ্ছি যাতে তারা এই সময়ের মধ্যে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে গত কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীরা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে টানা আন্দোলন চললেও গত ৮ এপ্রিল তা সহিংস রূপ নেয়।
ওইদিন রাতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখা আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এরপর পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে উপাচার্যের বাসভবনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় পরে মোট চারটি মামলা করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।