রাইসা মনির মরদেহ নিয়ে বাড়ির পথে বাবা-মা, সকালে দাফন

লেখক:
প্রকাশ: ২ দিন আগে

ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বিকৃত হয়ে যাওয়া পাঁচজনের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাব। মোট ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঁচজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রাইসা মনি।

একটি নমুনা থেকে একজন নারীর ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যা দাবিদার মো. শাহাবুল শেখ ও মিম দম্পতির কন্যাসন্তান (রাইসা মনি) প্রমাণিত হয়। তাদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায়। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দিনগত রাতে এ তথ্য জানান রাইসা মনির চাচা ইমদাদুল শেখ।

তিনি জাগোনিউজকে বলেন, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের পরদিন ২২ জুলাই ঢাকা সিএমএইচে রক্ষিত অশনাক্ত মরদেহ ও দেহাংশ থেকে বেশ কয়েকজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন সিআইডির ডিএনএ ল্যাবের সদস্যরা। এই নমুনাগুলো বিশ্লেষণ করে মোট পাঁচজন নারীর ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়। এর মধ্যে আমার ভাতিজি রাইসা মনি ছিল।

রাইসা মনির চাচা ইমদাদুল শেখ আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে রাইসা মনি নিখোঁজ ছিল। পরদিন রাইসার দগ্ধ মুখের অর্ধেক অংশ দেখে মেয়ে চিনতে পেরেছিলেন তার বাবা। ওই সময় বারবার সিএমএইচের ডাক্তার ও দায়িত্বরত পুলিশদের অনুরোধ করে বলেন, এটাই আমার মেয়ে রাইসা মনি। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রমাণ না থাকায় ডাক্তাররা বাবার কাছে মেয়ের মরদেহ বু‌ঝিয়ে দিতে পারেননি। অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডিএনএ পরীক্ষার মাধ‌্যমে প্রমাণিত হলো বাবা সে‌দিন তার মেয়েকে ঠিকই চিনতে পেরেছিলেন। পরে রাইসার মরদেহ তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর মেয়ের মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফ‌রিদপুরের আলফাডাঙ্গার পথে রওয়ানা দেন। বাড়িতে পৌঁছাতে ভোর হয়ে যাবে। শুক্রবার দাফন সকাল নয়টার দিকে দাফন করা হবে রাইসার মনির মরদেহ।

গত সোমবার দুপুরে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হায়দার আলী ভবনে বিধ্বস্ত হয়। সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬৯ জন।