 
                                            
                                                                                            
                                        
১৫ বছরের পুরোনো অটোরিকশার মেয়াদ আর বাড়ানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যেই এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রণালয় থেকে বিআরটিএতে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তের পর নতুন অটোরিকশা প্রতিস্থাপন ছাড়া মালিকদের আর কোনো বিকল্প থাকল না। তবে এখনো আশা ছাড়েনি ঢাকা মহানগর সিএনজি মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদ। পরিষদের আহ্বায়ক বরকত উল্লাহ বলেন, এখনো সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। মন্ত্রণালয় থেকে বিআরটিএতে চিঠি পাঠানো হয়েছে মাত্র। এখন বিআরটিএ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্ত্রণালয়কে জানাবে। এরপর মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে। প্রজ্ঞাপন জারি হলেও বৃহত্তর স্বার্থে সরকার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে।
গত বুধবার স্বাক্ষরিত মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে পাওয়া মতামত অনুযায়ী সিএনজিচালিত অটোরিকশার মেয়াদ ১৫ বছরের বেশি বৃদ্ধির সুযোগ নেই। চিঠিতে প্রচলিত বিধিবিধান অনুযায়ী জরুরি ভিত্তিতে বিআরটিএকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।
মালিক সমিতির দাবি এবং বিআরটিএর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এসব অটোরিকশার মেয়াদ আরও বাড়ানো যায় কি না, সে-সংক্রান্ত মতামত গত মঙ্গলবার বিআরটিএতে জমা দেয় বুয়েট। মতামতে বুয়েট অটোরিকশার মেয়াদ ১৫ বছরের বেশি না করার সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে ২০০২ মডেলের অটোরিকশাগুলোর ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা দ্রুত কার্যকর করতে বলা হয়েছে। বুয়েটের মতে দীর্ঘ মেয়াদে এ অটোরিকশাগুলো ঝুঁকিপূর্ণ।
বিআরটিএ ও মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও চট্টগ্রামে ২০০২ মডেলের ৮ হাজার ৪২১টি ও ২০০৩ মডেলের প্রায় সাড়ে ৭ হাজার অটোরিকশা চলাচল করে। ৩১ মার্চ ২০০২ মডেলের অটোরিকশাগুলোর এবং আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০০৩ মডেলের অটোরিকশাগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাবে।