আজ ডিসি আমারে ৫০০০ টাকা দেছে এই টাকা দিয়া আমি পোলাপাইনে পড়ালেখা করামু। আমি অনেক খুশি আমি ডিসি স্যারের জন্য দোয়া করি। এমটি করে বলছিলেন মোঃ আনিস হাওলাদার বয়স (৫৬)। বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড সোনের মসজিদ এলাকায় বসবাস করেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জন কারী ব্যক্তি তিনি। পরিবারে স্ত্রী, কন্যা, ছেলে এই চারজনের সংসার অনিসের। কোন এক সময় মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করতেন এবং কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্য বলে তার দাবী । মেয়েটি বরিশাল এ করিম আইডিয়াল কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী সে এবার ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার্থী। ছেলেটি চাঁদপুরা হাজী মোবারক আলী মাদ্রাসার দাখিল পরিক্ষার্থী। বরিশাল শহরের রাস্তা ঘাটে দেখা মেলে তার।
কেউবা তাকে পাগল বলে কেউবা তাকে ট্রাফিক পাগল বলে তবে তার এই পাগলামি নগর বাসীর উপকারে আসছে।যেখানে যানজট সেখানেই তাঁর আবির্ভাব, বাঁশি বাজিয়ে ফাঁকা করে দেয় মুহূর্তের মধ্যে। আনিস সাহায্যের জন্য সবার কাছে হাত পাতেনা, নগরীর যানজট নিরসন করে সামর্থ্যবান মানুষের কাছে হাত পাতে। তার চাহিদা কখনো ১০ টাকা কখন ১০০ টাকা যে যা দেয় তাই নিয়ে হাসিমুখে চলে যায় আনিস। তাকে বিভিন্ন কর্মসূচিতে বা র্যালিতে তাঁকে যানজট নিরসনের কাজে সহযোগিতা করতে দেখা যায়। তার বাঁশির আওয়াজে মুহুর্তের মধ্যে ফাঁকা করে দেয় র্যালির চলাচলের রাস্তা।
বিষয়টি চোখ এড়ায়নি জেলা প্রশাসক বরিশালের তিনি পূর্বেও তার এই কার্যক্রম দেখেছেন। আজ প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯ র্যালিতে তার ভুমিকা দেখে আনিসের সাথে কথা বলেন তার সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয় জেলা প্রশাসক। আজ ১৩ মার্চ বিকেলে জেলা প্রশাসক বরিশাল এর অফিস কক্ষে। জেলা প্রশাসক বরিশাল এস, এম, অজিয়র রহমান সমাজসেবার মাধ্যমে সাহায্যের জন্য পাঁচ (৫০০০) হাজার টাকা টাকা নিজ হাতে তুলে দেন মোঃ আনিচ হাওলাদার এর হাতে, টাকা পেয়ে মহা খুশি আনিস।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরিশাল, শহিদুল ইসলাম, সমাজসেবার প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজসহ আরো অনেকে। জেলা প্রশাসক তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আনিস সাহেবকে বিভিন্ন প্রোগ্রামে দেখা যায় বাঁশি বাজিয়ে ট্রাফিকের কাজ করে আজ শুনলাম তার দুটি সন্তান পড়াশোনা করছে তাদের পড়াশোনার জন্য একটু সহযোগিতা করতে পেরে ভালো লাগছে। ভবিষ্যতে তাকে জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।