ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে একুশের প্রথম প্রহরে বরিশালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষ

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

মোঃ শাহাজাদা হিরা:: আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি। মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে যথাযথ মর্যাদায় একুশের প্রথম প্রহরে বরিশাল কেন্দ্রীয় শহিদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। আজ ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২ টা ১ মিনিটে বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ম মেনে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে একুশের প্রথম প্রহর। বরিশালে ভাষা শহীদদের স্মরণে রাষ্ট্রীয়ভাবে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন বিভাগীয় কমিশনার বরিশাল অমিতাভ সরকার এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম, বিএমপি কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) বরিশাল মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, জেলা প্রশাসক বরিশাল জসীম উদ্দীন হায়দার। পরে নিয়ম মেনে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পাশাপাশি হাজার হাজার সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনে ভিন্ন মাত্রা পায় শহিদ মিনার চত্বর। জেলা প্রশাসক বরিশাল জসীম উদ্দীন হায়দার এর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা প্রশাসন পরিবারের পক্ষ থেকে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। এসময় বরিশাল জেলার উর্ধতন কর্মকর্তারাসহ জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারী বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি একদিনের অর্জন নয়, তাই বাঙ্গালী জাতির জীবনে প্রতিদিনই একুশে ফেব্রুয়ারি হওয়া উচিত। ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এর পাশাপাশি বাংলা ভাষার অবাধ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তবেই একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের মানুষের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস। ১৯৫২ সালের এই দিনে (৮ ফাল্গুন ১৩৫৮) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাজপথে বেরিয়ে এলে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে আবুল বরকত, রফিক, আবদুল জব্বার, আবদুস সালামসহ কয়েকজন ছাত্র, যুবক হতাহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ ঢাকাবাসী ভাষাশহীদদের স্মৃতিকে অমর করে রাখার জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি এক রাতের মধ্যে মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে নির্মাণ করে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। যা অমর একুশে প্রতীক আমাদের শহীদ মিনার। তাই এ দিনটি শহিদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি. জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়।