বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভার কারণে রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। আর সেই জনসভার কারণে রাজধানীতে গণপরিবহন কম থাকার কারণেও দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে অনেককে। এ সমস্যার জন্য রাজধানীবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
যানজটের কারণে নগরবাসীর প্রতি দুঃখ প্রকাশ করে জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনুগ্রহ করে আপনারা সহনশীল দৃষ্টিতে ৭ মার্চ দিবসটি পালনে সহায়তা করবেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে এর আগে বৃহস্পতিবারের বদলে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা আয়োজন করা হয়েছিল। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পালন করা হয়েছে। কিন্তু ৭ মার্চ, ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৬ ডিসেম্বর ও ২৬ মার্চের মতো বিশেষ দিনগুলোর কর্মসূচি নির্দিষ্ট দিনেই পালন করতে হয়। জনসভা সফল করতে এ সময় তিনি ঢাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ গত বছর ইউনেসকো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বঙ্গবন্ধুর সেই অমর ভাষণ এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। তাই এবারের ৭ মার্চ ভিন্ন আঙ্গিকে উদ্যাপন করছে বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। ৭ মার্চের সেই ভাষণ উপলক্ষে জনসভার আয়োজনেও ছিল বড় ধরনের প্রস্তুতি।
সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ধরে নানা জায়গা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল গিয়ে মেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এসব মিছিলে সভা উপলক্ষে তৈরি করা হয় নানা প্রতিকৃতি, পোস্টার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিবাহী পোস্টার ও প্রতিকৃতি ছিল অনেকের হাতে। বেলা দুইটার মধ্যে জনসমুদ্রে পরিণত হয় পুরো উদ্যান এলাকা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ৪০ মিনিটের ভাষণে তিনি বাংলাদেশের স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিবৃত্ত, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট থেকে শুরু করে জেলহত্যার ঘটনা, পরের বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরে বক্তব্য দেন। শেখ হাসিনার ভাষণের বড় অংশজুড়ে ছিল উন্নয়নের পথে এগিয়ে আসার আহ্বান।