বাউফল প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে এক সংবাদকর্মীকে আক্রোশমূলকভাবে মামলায় ফাঁসানোয় অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ওসি’র বিচার চেয়ে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি ও পটুয়াখালীর পুলিশ কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী সংবাদকর্মী মো: মনিরুল ইসলাম শাহীন। অভিযোগকারী বাউফাল উপজেলার ৮ নং মদনপুরা ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া গ্রামের মো: মোসলেম উদ্দীন মৃধার পুত্র ং বরিশালের আঞ্চলিক দৈনিক বিপ্লবী বাংলাদেশে’র স্টাফ রিপোর্টার। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সংবাদকর্মীর পরিবারের সাথে স্থানীয় কামাল মুন্সী গংদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে । এ নিয়ে সংবাদকর্মীর দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে আদালত বিরোধীয় জমিতে স্থিতিবস্থার আদেশ দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তরা ২০১৫ সালের ১ মে শহীনকে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পিবিআই। তাছাড়া ওই মামলায় মমিন চৌকিদারসহ অন্য আসামিদের কারাভোগ করতে হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার জানিয়েছেন, প্রতিপক্ষরা তাদেরকে দীর্ঘ দিন ধরে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এ বিষয়টি বাউফল সহকারী জজ আদলতকে লিখিতভাবে জানানো হলে আদালত বাউফল থানার ওসিকে ১৫১ ধারায় তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে স্থিতিবস্থায় বজায় রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু বাউফল থানার বর্তমান ওসি মোস্তাফিজুর রহমান আদালতের আদেশ না মেনে উল্টো আসামি পক্ষকে বিরোধী জমিতে দুটি ঘর নির্মানে সহায়তা করেন। এ বিষয় ওসির বিরুদ্ধে আইজিপি’র কাছে অভিযোগ করলে সংবাদকর্মী ও তার পরিবার। পরে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার বাউফলের ওসিকে তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে শাহীনের সামনেই ওসিকে সাবধান করে দেন। এতে শাহীনের উপরে ক্ষুব্ধ হন ওসি মোস্তাফিজুর রহমান। শাহীন অভিযোগ করেন, গত বছরের ২৪ ও ২৯ নভেম্বর আদালতে দুটি মামলার ধার্য্য তারিখ ছিল। ওই তারিখে আমি যাতে আদালতে হাজির হতে না পারি সে জন্য আসামিদের পক্ষ নিয়ে কোন অপরাধ বা অভিযোগ ছাড়াই আমাকে ধরে নিয়ে থানায় আটকে রাখে। এমনকি পরবর্তীতে মিথ্যা অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় আসামি দেখিয়ে আমাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। ওই মামলায় ২২ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত হাজত বাস করতে হয়। এ ব্যাপারে মদনপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার কাছে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে বলেন, মমিন চৌকিদারকে তার কুকর্মের জন্য সাময়িক বহিস্কার করেছিলাম। বাউফল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে শাসিয়ে ছিলেন ভবিষ্যতে যেন মামলা মোকদ্দমা এবং অনৈতিক কার্যকলাপে না জড়ায়। শাহীনের বাবা মো: মেসলেম উদ্দীন মৃধা বলেন, উল্লেখিত মামলার ব্যাপারে এলাকার দুইশত জন স্বাক্ষরিত পৃথক অভিযোগ রেঞ্জ ডিআইজি বরাবরে দাখিল করেছি। এদিকে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি সফিকুল ইসলাম জানান অভিযোগ প্রমানতি হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাউফল থানার ওসি মো: মোস্তাফজুর রহমান সংবাদকর্মীদের জানান, আমি অভিযোগ সম্মন্ধে জানিনা, আপনারা সাংবাদিরা যা ভালো মনে করেন লিখতে পারেন বলে মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।