শামীম আহমেদ ॥ লাল শাড়ি আর মেহেদী পড়ে পাঁচ মাস আগে বিয়ের সাঁজে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলো অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী বর্ষা আক্তার (১৫)। গত দুইমাস যাবত বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলো সে (বর্ষা)। দুই-একদিনের মধ্যে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিলো তার। তবে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার আগেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বর্ষা।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ (১২) ডিসেম্বর সোমবার সকালে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বড় কসবা গ্রামে। নিহত বর্ষা ওই গ্রামের ভ্যান চালক সাইফুল মালের মেয়ে। সে গৌরনদী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী ছিলো।
স্থানীয়রা জানান, গত পাঁচ মাসপূর্বে স্কুল ছাত্রী বর্ষা আক্তারের বিয়ে হয় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ইমাম হোসেন রনির সাথে। বিয়ের তিনমাস পর বাবার বাড়ি বেড়াতে এসে আর শশুর বাড়ি যেতে চাচ্ছিলোনা বর্ষা। সম্প্রতি শশুর বাড়িতে যাওয়ার কথা তার।
সোমবার সকালে বসতঘরে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরের আড়ার সাথে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে (বর্ষা)। আত্মহত্যার সঠিক কারন জানা না গেলেও স্থানীয়দের ধারণা বাল্য বিয়ের বলি হয়েছে ওই স্কুল ছাত্রী।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ হেলাল উদ্দীন জানান, খবরপেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।