অনলাইন ডেস্ক : পটুয়াখালীতে বাসে যাত্রী ওঠাকে কেন্দ্র করে র্যাব ও বাস মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে র্যাব ও বাস শ্রমিক-মালিক পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
আহত র্যাব সদস্য জসিমকে গুরুতর অবস্থায় পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে এ ঘটনার জের ধরে বাস শ্রমিকরা বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের পটুয়াখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকার সড়কে টায়ার জালিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। তবে বিষয়টি মীমাসাংর জন্য প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা এবং বাস মালিক সমিতির মালিক পক্ষের সঙ্গে বৈঠক বসেছেন।
র্যাবের হামলায় আহত সুলতান পরিবহনের হেলপার রুবেল বলেন, পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ের সামনে বাসটি আসলে কিছু যাত্রী ওঠা নামার জন্য বাসটিকে দাঁড় করানো হয়। এসময় বাসে থাকা সাদা পোশাকে দুই র্যাব সদস্য যাত্রী ওঠা নিয়ে আপত্তি করে। এতে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায় হাতা-হাতি পরে চরথাপ্পর দেয়া শুরু হয়।
এসময় বাস মালিক পক্ষের লোকজন এগিয়ে আসলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত র্যাব সদস্যরা তাদের সহপাঠিদের খবর দেয়। এসময় অতিরিক্ত র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে বাস মালিক শ্রমিক ও শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ চালায়। এসময় শ্রমিকরা পাল্টা হামলা চালায়। এতে র্যাবের কয়েক সদস্য আহত হয়। আহত র্যাব সদস্যরা হলেন সুজন মিয়া, জসিম উদ্দিন এবং হাবিব। এদের মধ্যে গুরুতর জসিমকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
এদিকে সংষর্ষে আহত হয়েছেন বাস মালিক রিপন, শামীম মৃধা, জুয়েল, বাদশা, নাসির উদ্দিনসহ কয়েকজন। বাকি আহতদের নাম জানা যায়নি।
পটুয়াখালী র্যাব-৮ এর কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র এএসপি সোয়েব আহমেদ বলেন, বাস মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তা সমাধান হয়েছে। এখন কোনো ঝামেলা নেই।
পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ আহমেদ বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় র্যাব সদস্যরা বাস শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তার প্রতিবাদের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। পরে পটুয়াখালী র্যাব-৮ এর কোম্পানি কমান্ডার এসে মীমাংসা করে দিয়েছেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা তাদের আন্দোলন উঠিয়ে নেয়।
পটুয়াখালী সদর সার্কেলের এএসপি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সড়ক অবরোধের কথা শুনে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং র্যাবের অফিসার ও বাস মালিক পক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি মীমাংসা করতে সক্ষম হই। এখন আর কোনো ঝামেলা নেই। সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে।