ঝালকাঠিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবির খান ও যুবলীগ নেতা কামাল শরীফের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এক পৌর কাউন্সিলর গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের ২১ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের পালবাড়ি ও ইছানীল এলাকায় দুই দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে ঝালকাঠি সদর ও বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার জন্য একে অপরকে দায়ী করছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি শহরের শিশুপার্কে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে দু’পক্ষের লোকজনই অংশ নেয়। হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে মিছিল নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে কামাল শরীফের লোকজন রাব্বি নামে ইছানীল এলাকার এক যুবককে মারধর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে হুমায়ুন কবিরের ভাইয়ের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক কামাল শরীফের লোকজনের ওপর হামলা করে। এতে কামাল শরীফের বাবা সালেক শরীফ, ভাই জামাল শরীফ, ইদ্রিস শরীফ, ইলিয়াছ শরীফ ও তাদের সমর্থকসহ ১২ জন গুরুতর আহত হয়।
এদিকে দুপুরে সম্মেলন শেষে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে শহরের পালবাড়ি এলাকায় হুমায়ুন কবির খানের ছোট ভাই পৌর কাউন্সিলর শাহ আলম ফারসুর ওপর কামাল শরীফ ও তার লোকজন হামলা চালায়।
এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে গেলে কামাল শরীফ গুলি ছোড়ে। এতে পৌর কাউন্সিলর শাহ আলম ফারসু গুলিবিদ্ধ হন। পিটিয়ে আহত করা হয় হুমায়ুন কবির খানের ছেলে আরিদ খান, বাবুল হোসেন খান ও মিরাজ মৃধাসহ ৯ জনকে।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করেছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষ মামলা করেনি।