অনলাইন ডেস্ক// ঝালকাঠি বিসিকে ৭৯টি প্লটের জন্য মাত্র ১০টি আবেদন পড়েছে। এ কারণে শিল্পনগরীর প্লল্ট বরাদ্দের কার্যক্রম শুরুতেই থমকে গেছে। প্লট তৈরীর পর বরাদ্দের আবেদনে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় প্রথম ধাপেই স্থগিত হয়ে পরেছে কার্যক্রম। তবে উদ্যোক্তারা এজন্য প্লল্টের নির্ধারিত খরচ বেশি হয়েছে বলে দাবি করছেন। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষ প্লটের মূল্য কমিয়ে পুনরায় আবেদন আহ্বান করতে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বিসিক প্রধান কার্যালয়ে।
সূত্রমতে বরিশাল-ঝালকাঠি-খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন ঝালকাঠির ঢাপড় এলাকায় ১১.৮ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে এ শিল্পনগরী। তবে প্লটভূক্ত জমির পরিমাণ ৮.২৬ একর। প্রায় ১৭ কোটি টাকা ব্যায়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়ে সম্পন্ন হয় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে। এরপর প্লট বরাদ্দের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়। চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল। এ সময়ের মধ্যে মোট ৭৯টি প্লটের জন্য আবেদন পরেছে মাত্র ১০টি। এ, বি ও সি তিন শ্রেণীর প্লটের প্রতি বর্গফিট নির্ধারণ করা হয়েছে ৬শ টাকা। এ হিসেবে ৬ হাজার বর্গফিটের এ শ্রেণীর ১টি প্লটের মূল্য আসে ৩৬ লাখ টাকা। বি শ্রেণীর ৪.৫শ বর্গফিট প্লটের মূল্য ২৭ লাখ টাকা এবং সি শ্রেণীর ৩.২শ বর্গফিট প্লটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ লাখ টাকা। প্লট বরাদ্দের পর ১০ কিস্তিতে মূল্য পরিশোধ করতে হবে। প্রতি কিস্তি ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার সাথে ১০ শতকরা ইন্টারেস্টসহ এ শ্রেণীর ৬ হাজার বর্গফিটের মোট মূল্য দাঁড়ায় ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
এত বেশি টাকা মূল্য নির্ধারণের কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ বলছে, জমির পরিমাণ কম হওয়ায় শিল্পনগরীর উন্নয়ন খরচ বেশি হয়েছে। প্লট বরাদ্দের পর উদ্যোক্তা পাবে পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ সুবিধা। এ তিন ধরনের প্লট ছাড়াও স্পেশাল শ্রেণীর প্লট আছে ১১টি। ৩১ মাসের মধ্যে উৎপাদনে যেতে না পারলে বাতিল হবে বরাদ্দ প্লল্ট।
ঝালকাঠি বিসিক শিল্পনগরীর প্রজেক্ট ডিরেক্টর শাফাউল করিম জানান, আসলে শিল্পনগরীর জমির পরিমাণ কম হওয়ায় উন্নয়ন খরচ বেশি পরেছে। এ কারণে মূল্য বেশি হওয়ায় প্লট বরাদ্দের আবেদনে তেমন সাড়া পাইনি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে বিসিক প্রধান কার্যালয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি চিঠি পাঠিয়েছি।