জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তি তৈরি করতে মার্চ লেগে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। শেষ দুই বছরে কেন্দ্রীয় চুক্তি মার্চে ঘোষণা করেছিল বিসিবি। তবে এবার বছরের প্রথম মাসেই ঘোষণা করেছে ২০২৩ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তি। যা কার্যকর থাকবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
নতুন বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কেবল নতুন করে ঢুকেছেন জাকির হাসান ও হাসান মাহমুদ। এবারও ফরম্যাট অনুযায়ী ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তি করেছে। সঙ্গে বেতন নির্ধারণে করা হয়েছে গ্রেডিং। ‘এ প্লাস’, ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ গ্রেডিং করা হয়েছে। যেখানে পারফরম্যান্সের সঙ্গে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাও হিসেব করা হয়েছে। নতুন বছর ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানো হয়নি। তবে গ্রেডিং ও ফরম্যাটের কারণে কারও বেতন কমেছে, কারও বেড়েছে।
টেস্টে ‘এ’ প্লাস গ্রেডের বেতন ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ওয়ানডেতে ৪ লাখ টাকা আর টি-টোয়েন্টিতে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তিন ফরম্যাটে ‘এ’ প্লাস গ্রেডে বেতন নির্ধারণে প্রথম ক্যাটাগরির শতভাগ, দ্বিতীয় ক্যাটাগরির পঞ্চাশ ভাগ এবং সবশেষ ক্যাটাগরির চল্লিশ শতাংশ বেতন পাবেন। দুই কিংবা এক ফরম্যাটে গ্রেডিং অনুযায়ী সর্বোচ্চ বেতনটাই পাবেন ক্রিকেটাররা।
সাকিব তিন ফরম্যাটেই খেলছেন। রয়েছেন ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরিতে। টেস্ট থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ওয়ানডেতে ২ লাখ ও টি-টোয়োন্টি থেকে ১ লাখ টাকা বেতন পাবেন। সব মিলিয়ে তার মাসিক বেতন হবে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সঙ্গে দুই ফরম্যাটে অধিনায়ক ভাতা হিসেবে যোগ হবে ৪০ হাজার টাকা। তামিম খেলছেন দুই ফরম্যাটে। টেস্ট ও ওয়ানডে। ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে তামিমের বেতন হবে যথাক্রমে ৪ লাখ ৫০ হাজার (টেস্টে), ২ লাখ (ওয়ানডে)। সঙ্গে অধিনায়ক ভাতা ২০ হাজার। সব মিলিয়ে তার মাসিক বেতন হবে ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
তামিমের মতো সমান বেতন মুশফিকুর রহিমের। তিনি কেবল পাবেন না অধিনায়ক ভাতা। শুধুমাত্র ওয়ানডে চুক্তিতে থাকা মাহমুদউল্লাহ পাবেন ৪ লাখ টাকা। তিন ফরম্যাটে সাকিবের সঙ্গে রয়েছেন লিটন দাশ, তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনজনই ‘এ’ গ্রেডে। টেস্ট থেকে তারা ৪ লাখ, ওয়ানডেতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও টি-টোয়েন্টিতে ৮০ হাজার টাকা বেতন পাবেন।
নতুন করে যুক্ত হওয়া জাকির হাসান ও হাসান মাহমুদকে ‘সি’ গ্রেডে রাখা হয়েছে। তারা ১ লাখ টাকা করে বেতন পাবেন। এছাড়া এই চুক্তির বাইরে রয়েছেন, তারা যদি জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান, তাহলে তাকে ওই মাসে ১ লাখ টাকা দেওয়া হবে।