ক্যারিয়ারের কিছু বিষয় রয়েছে যে বিষয়গুলোতে আপনি কৌশলী না হলে চলবে না। ক্যারিয়ারের কিছু বিষয় আপনাকে আপনার বিশ্বাসের জায়গা থেকে অনেক দূরে নিয়ে যাবে এবং আপনাকে হতাশার জগতে নিয়ে যেতে পারে। এজন্য কোনো চাকরির প্রার্থীর ক্ষেত্রে লক্ষ্য করতে পারেন। চাকরিতে ইন্টারভিউ দিতে গেলে তাকে বিভিন্ন রকম প্রস্তুতি নিতে হয়।
কয়েকটি বিষয় আপনাকে বেশ ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে। যেমন ধরুন—ভাইবার স্থানে আপনাকে কমপক্ষে ৩০ মিনিট উপস্থিত হতে হবে। যা আপনাকে মানসিক প্রশান্তি দিবে। সেখানে গিয়ে ভালোভাবে ফ্রেশ হয়ে নিন। সর্বশেষ দেখে নিন আপনার ড্রেসআপ ঠিক আছে কিনা? ভাইভার আগের রাতের মধ্যেই যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করুন। সকালে একটু আগেভাগেই ঘুম থেকে উঠে পড়ুন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে আবার দেখে নিন। বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা নিন। এটা আপনাকে অতিরিক্ত মানসিক চাপ এড়াতে সহযোগিতা করবে। ভাইভা গ্রহণকারীকে প্রাধান্য দিয়েই তার সামনে নিজেকে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করুন।
এতে করে চাকরিদাতা আপনার পেছনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। যা আপনার চাকরি পেতে ইতিবাচক হিসেবে কাজ করবে। চাকরিদাতাকে মৌখিক বা অঙ্গভঙ্গিতে বোঝাতে পারেন। আগ্রহী মনোভাব চাকরিদাতার কাছে আপনার মূল্যায়ন বাড়িয়ে দিতে পারে। চাকরিদাতার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলা থেকে বিরত থাকুন। সুযোগ পেলেই বিস্তারিত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন। যা আপনার বিচক্ষণতা সম্পর্কে ইন্টারভিউ গ্রহণকারীর কাছে ইতিবাচক ধারণা দিতে সহযোগী হবে। জীবন-বৃত্তান্তের অতিরিক্ত একটি কপি সঙ্গে রাখুন, কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর প্রস্তুত রাখুন, আপনার সম্পর্কে বলুন, আপনার কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কিছু বলুন, আপনার ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো বলুন, আপনি কেন আমাদের কোম্পানির সাথে কাজ করতে চান?
এছাড়াও আরও অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারেন আর তা হলো—কোম্পানির কাছে আপনি কি আশা করেন? এই পজিশনে আপনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী? আপনি কি এই পজিশনের জন্য আপনাকে উপযুক্ত মনে করেন ইত্যাদি। আপনি যদি চাকরিটির জন্য প্রকৃতপক্ষেই আগ্রহী হন তবে যে কোনোভাবে চাকরিদাতাকে এটা বোঝাতে চেষ্টা করুন। মনে রাখা উচিত, কোম্পানির কোনো ব্যাপারে আগ্রহের ঘাটতি থাকা মানেই চাকরিটি প্রত্যাখ্যান করা।
একটি কথা মনে রাখতে হবে আর তা হলো—চাকরির পাওয়ার ক্ষেত্রে ভাইভাই শেষ সুযোগ। সবশেষে ইন্টারভিউয়ারদের ধন্যবাদ জানাতে ও আত্মবিশ্বাসের সাথে করমর্দন করতে ভুলে যাবেন না। এই বিষয়গুলোতে একটু কৌশলী হলে আপনি ক্যারিয়ারে নিশ্চিত ভালো করতে পারবেন।