কুয়াকাটায় ঈশিতা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত কেশবপুরের যুবক

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

মোরশেদ আলম কেশবপুর,যশোর৷৷ যশোরের কেশবপুর উপজেলার বুড়িহাটি গ্রামের হামেত আলী সরদারের ছেলে রাজ্জাক সরদার (৩৩) কুয়াকাটায় হোটেল কক্ষে নিপীড়নের পর ঈশিতা কর (১৭) নামে এক কলেজ ছাত্রীকে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। রাজ্জাক পেশায় ইটভাটা শ্রমিক। মাঝেমধ্যে সড়ক সংস্কারেও শ্রমিকের কাজ করতো। নিহত ঈশিতা বরিশালের কালকিনির ডাসার শেখ হাসিনা মেমোরিয়াল মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার বড়পাইতা গ্রামের নিপুণ করের মেয়ে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত চার মাস আগে আগৈলঝাড়ার বড়পাইতা গ্রামে একটি সড়কে কাজ করতে গিয়ে রাজ্জাকের সঙ্গে পরিচয় হয় কলেজছাত্রী ঈশিতার। পরবর্তীতে মোবাইল ফোনে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পর গত ২৯ ফেব্রুয়ারি কুয়াকাটার হোটেল হলিডে ইন’-এ স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ২০৮ নম্বর কক্ষে ওঠে দুজন। এর দুদিন পর ৩ মার্চ ভোরে ঈশিতা করের মরদেহ হোটেল কক্ষের বিছানায় পাওয়া যায়। প্রথমে পুলিশ ইউডি মামলা নিলেও নিহতের পরিবার মরদেহ শনাক্তের পর ফুসলিয়ে অপহরণ করে ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করে। নিপীড়নের পর ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে, এমনটিই বরিশালের মহিপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. সাইদুর রহমান জানিয়েছেন।

বুধবার বিকালে মরদেহের শনাক্তের পর নিহতের পরিবারের কাছে হস্তাস্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাবা নিপুণ কর বাদী হয়ে মহিপুর থানায় বুধবার একটি হত্যা মামলা করেছেন। মহিপুর থানায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাইদুর জানান, প্রতারক রাজ্জাককে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এব্যাপারে কেশবপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান জানান, মহিপুর থানার একটি টিম ৫ মার্চ (বৃহস্পতিবার) কেশবপুরে আসেন। তাদের সঙ্গে এব্যাপারে কথা হয়েছে। আসামিকে ধরার জন্য কেশবপুর থানা পুলিশও চেষ্টা করছে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রয়ারি রাজ্জাক সরদার ও ঈশিতা ভুয়া নাম ঠিকানায় স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল হলিডে ইনের ২০৮ নম্বর কক্ষে ওঠেন। এর পর ৩ মার্চ ভোরে ঈশিতার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় পলাতক থাকে রাজ্জাক।