#

নারী আর পুরুষের শরীরের গঠনের পাশাপাশি তাদের ত্বক ও চুলের ধরনও ভিন্ন হয় থাকে। নারীর তুলনায় বেশী রুক্ষ হওয়ার কারণে পুরুষের ত্বক ও চুলের জন্য বেশী যত্ন নেয়া প্রয়োজন। একসময় নিজেদের চেহারার প্রতি উদাসীন থাকলেও এখন সেই দিন অনেক বদেলেছে। আজকাল ছেলেরাও নিজের চেহারার ব্যাপারে কমবেশি সচেতন। তাই সৌন্দর্য চর্চা আর কেবল নারীদের বিষয় নয়। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে অনেক পুরুষই নিজের জন্য এই সময়টুকু বের করতে পারেন না, অনেকেই আবার ইচ্ছা থাকলেও সঠিক উপায় না জানার কারণে সৌন্দর্যচর্চা করতে পারেন না। আসুন পুরুষের ত্বক ও চুলের পরিচর্যার কিছু সহজ টিপস জেনে নেই, যা প্রয়োগ করলে ফুটে উঠবে আপনার স্বাভাবিক সৌন্দর্য।

পুরুষের ত্বকের যত্নের কার্যকরী টিপস

১) শেভিং এর জন্য ভালো কোম্পানির পণ্য ব্যবহার করুন। তাতে ত্বকের ক্ষতি হবে না।

২) মুখ পরিস্কার করতে ভালো কোম্পানির ফেস ওয়াস ব্যবহার করুন প্রতিদিন।

৩) বাইরে গেলে সাথে প্যাকেটজাত ভেজা টিস্যু রাখতে পারেন। ভেজা টিস্যুতে মুখ মুছলে যেমন সজীব লাগবে, তেমনি পরিছন্ন থাকবে মুখ।

৪) চোখের কালি দূর করতে শসা কেটে চোখে লাগিয়ে রাখুন বিশ মিনিট।

৫) ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করতে টমেটোর বীজের অংশ টুকু হাতে চটকে বা টমেটোর রস লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলবেন। রোদে পোড়া ভাব একদম থাকবে না।

৬) তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সমস্যা বেশি দেখা যায়, এই থেকে পরিত্রাণ পেতে ব্রণের ওপর চন্দন বাটা প্রতিদিন দিয়ে রাখুন। উপকার পাবেন।

৭) কনুই এর কালো ভাব দূর করতে লেবু ঘষে নিন ভালো করে।

৮) মুখে র‌্যাশ বের হলে অড়হর ডাল বাটা পেস্ট করে র‌্যাশের ওপর লাগান। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত করুন।

৯) পিগমেন্টেশন বা মুখের কালো দাগ থেকে মুক্তি পেতে হরীতকী বাটা, আলুর রস, শসার রস, গ্লিসারিন মিলিয়ে দাগের ওপর লাগান একদিন পরপর।

১০) ত্বকের রূপ ধরে রাখতে বেসনের পেস্ট, মধু ও দুধ মুখের ত্বকে লাগান। এতে ত্বকের বলিরেখা দূর হবে। পাশাপাশি চেহারার লাবণ্য হয়ে উঠবে ।

পুরুষের চুলের যত্ন

১) মেহেদি ও ডিম মিলিয়ে সপ্তাহে অন্তত একদিন লাগান। চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

২) শ্যাম্পু করার আগে চুলে তেল ম্যাসাজ করুন। তেলের সঙ্গে আমলা বাটা, বাদাম বাটা, সিরকা মিশিয়ে নিন।

৩) শ্যাম্পুর পর চুলে কন্ডিশনার দিন।

৪) চুল কালার না করাই উত্তম কাজ। কারণ চুল কালার করার ফলে চুলের ক্ষতি হতে পারে। চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।

৫) নিয়মিত চুল আঁচড়ালে খুশকি হবার সম্ভাবনা কমে যাবে।

৬) চুল নিয়মিত পরিষ্কার করুন। কারণ অপরিচ্ছন্ন চুলে খুশকি হয় বেশি।

৭) চুলের সাথে সামঞ্জস্যহীন ব্র্যান্ড এর ভাল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।

৮) নতুন চুল গজাতে পেঁয়াজ এর রস এর সাথে আমলকীর রস মেশান। মাথার তালুতে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে ঘণ্টাখানিক রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৯) চুলের পুষ্টির জন্যে পানি জাতীয় খাবার, পানি, ফল, শাক-সবজি ইত্যাদি নিয়মিতি বেশি করে খেতে হবে। এতে চুল শুধু ঝলমলে আর সুন্দরই হবে না, চুল ঝরে পড়াও বন্ধ হবে।

১০) মাথার ত্বকে ফোসকা বা ঘামাচি দূর করতে সপ্তাহে একদিন নিমপাতা ভেজানো পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে নিতে হবে।

শেয়ার করুন সবার সাথেঃ

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন