উপাচার্য ছাড়াই চলছে বাংলাদেশের ৪০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগের তাগিদ দেওয়া হলেও তারা তা মানছেন না। বিভিন্ন কৌশলে তারা একই ব্যক্তিকে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে রেখে দিচ্ছেন। তাদের এই কৌশলের কাছে ইউজিসি অসহায়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১০৯টি। ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তির পদটি শূন্য আছে। এর মধ্যে ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্য নেই। ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও নতুন করে উপাচার্য নিয়োগ হয়নি। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদত্যাগ করেছেন।
ইউজিসি জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বার বার উপাচার্য নিয়োগের তাগাদা দেওয়ার পরও তারা এই পদে কাউকে নিয়োগ দিচ্ছেন না। এর পেছনে বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টিদের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে চাওয়ার মনোভাব দায়ী। উপাচার্য না থাকায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সমাবর্তন আয়োজন করতে পারেনি।
ইউজিসি পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) ড. ওমর ফারুক বলেছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ শূন্য পদগুলো পূরণের জন্য আমরা বার বার তাগাদা দিচ্ছি। এই পদগুলো পূরণ না হলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভালোভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে না।
উপাচার্য ছাড়াই চলছে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো:
সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গণ বিশ্ববিদ্যালয়, দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, শান্ত-মরিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস, প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি, আশা ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি, ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস, চিটাগং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জার্মান ইউনিভার্সিটি, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, এনপিআই ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, রূপায়ন এ কে এম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয়, জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস, খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহ মখদুম ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি, ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি, আরটিএম আল-কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি এবং দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা।