দাকোপের বানিশান্তায় যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

দাকোপ প্রতিনিধি: খুলনা জেলাধীন দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের
আমতলা/খেজুরিয়া ফাকা রাস্তার উত্তর পার্শ্বের বিলে হৃদয় মন্ডলের পুত্র সুব্রত
মন্ডল (৩০) এর গলাকাটা লাশ উদ্ধর করেছে দাকোপ থানা পুলিশ। নিহত সুব্রত
মন্ডলের বাড়ি পশ্চিম ঢাংমারী বিশ্বনাথ স:প্রা:বি: সংলগ্ন, সে পেশায়
একজন মুদি দোকানদার ও ভাড়ায় মটর সাইকেল চালাতেন।
নিহত সুব্রত মন্ডলের প্রতিবেশী বিপ্লব সরদার এর সাথে কথা হলে তিনি
বলেন আমাদের এলাকায় এখনো কারেন্ট না থাকায় আমরা সুব্রতর দোকানে
টিভি দেখতে যায়, আনুমানিক রাত ৮টার দিকে সুব্রত মোবইল ফোন
নিয়ে দোকানে ওর বৌকে বসিয়ে রেখে বাইরে চলে যায়।

দাকোপের বানিশান্তায় যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার। আমিও রাত সাড়ে
দশটার দিকে বাড়ি চলে যায়, পরক্ষনে সুব্রতর ফোন বন্ধ পেয়ে ওর বাড়ির লোক
আমার কাছে আসে এবং বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে কোন খবর না পেয়ে
তাৎক্ষনিক দুইটা মটরসাইকেল নিয়ে খুজতে বের হই। অনেক খোজাখুজির
পর রাত আড়াইটার দিকে আমতলা/খেজুরিয়া ফাকা রাস্তার পার্শ্বে সুব্রতর
মটর সাইকেল বন্ধ অবস্থায় দেখি, এবং সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তাৎক্ষনিক
দাকোপ থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য
নিমাই মন্ডলকে মোটর সাইকেলটি তার হেফাজাতে রাখার নির্দেশ দেয়।
পরবর্তীতে অনেক খোজাখুজির পর ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে সেখানকার বিলে
সুব্রতের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়।

বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সিনিয়র
এএসপি হুমায়ুন কবির, দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম
চৌধুরীর নেতৃত্বে থানা পুলিশ এবং খুলনার সিআইডি ক্রাইম সিন
ম্যানেজমেন্ট প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা লাশ হেফাজাতে
নিয়ে ময়না তদন্তের জন্য খুলনায় পাঠানোর প্রক্রিয়ায় আছে। জানা যায়
লাশের অদুরে সিগারেটের অংশ এবং জিলাপীর টুকরোসহ কিছু আলামত
পাওয়া গেছে। তবে সুব্রতের কাছে থাকা মোবাইল ফোন স্বর্ণের চেইন ও
আংটি পাওয়া যায়নি। হত্যাকান্ডের মোটিভ সম্পর্কে পুলিশ বা নিহতের
পরিবারের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে কোন ধারনা দিতে পারেনি। নিহত
সুব্রত মন্ডল ১ সন্তানের জনক । এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে
অবস্থান করছে।