বরিশালে প্রাণি সম্পদ দপ্তর মুজিব বর্ষে প্রকল্প বাস্তবায়ন লক্ষ মাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

শামীম আহমেদ ॥ বরিশাল জেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর জনবল সংকট থাকা সত্বেও কাজ করতে গিয়ে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বার্ষিকী উপলক্ষে বছর জুড়ে বরিশাল জেলার ১০ উপজেলার ৭ শত ৭৮টি খামারের গাভি, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি, কবুতর, টারকি ও কোয়েল পাখির ফার্মগুলোতে নিরাপদ মাংস,দুধ,ডিম উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা অর্জনের জন্য বিনা মূল্যে খামারীদের পরামর্শ পশু প্রাণিদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য ভেটেনারী চিকিৎসকের অভাবে মাঠ প্রর্যায়ে কর্মকর্তাদের কাজ করতে গিয়ে দারুনভাবে বেগ পোহাতে হচ্ছে।

 

অন্যদিকে বরিশাল জেলার প্রাণি সম্পদ দপ্তর দ্রুত সময়ের মধ্যে জনবল সংকট পুরন করা না হলে মুজিব বর্ষকে সামনে রেখে জেলায় একটি মডেল প্রাণী সম্পদ গ্রাম করার পরিকল্পনার মাধ্যমে নিরাপদ মাংস,ডিম, ও দুধ উৎপাদনের যে কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন লক্ষ মাত্রা অর্জন নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

প্রাণি সম্পদ দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য মতে ২০১৮-১৯ সালে জনবল সংকটের মাঝেও তারা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় তৃনমুল গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ৪৭টি গাভি ও মহিষ,৪ শত৯৮টি ছাগল,২৫টি ভেড়া, ১শত ২৬ টি হাঁস,৯শত ৬৯ বয়লার,৪শত ২১টি লেয়ার, ১শত ৬২ টি সোনালী,১শত ৭৬ টি কবুতর,২৮ টি কোয়েল ও ৫৬ টি টারকি মোরগের বে-সরকারী খামার রয়েছে।

 

যেখানে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত জেলার নদী মাত্তিক পথ সহ গ্রাম-গঞ্জের মেঠোপথ ভেঙ্গে সে সকল খামার পরিদর্শন করার এবং তাদের খামারের পশু প্রাণীদের চিকিৎসা সহ সকল ঔষদ সরবরাহ ও সেবা দিয়ে যাচ্ছে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তারা।

 

জনবল সংকট থাকা সত্বেও প্রাণি সম্পদ বিভাগ গত বছরে খামারীদের সেবা দেয়ার মাধ্যমে ১ লক্ষ ৭০ হাজার মেট্রিক টন দুধ উৎপাদনের লক্ষমাত্রার স্থানে ১ লক্ষ ৬২ হাজার ২শত ২৬ মেট্রিক টন দুধ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে।

 

এসময়ে তারা ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ১ শ’ মেট্রিক টন মাংস লক্ষমাত্রার উৎপাদনের স্থলে উৎপাদন হয়েছে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩শত ৮২ মেট্রিক টন।

 

অন্যদিকে ২৫ কোটি ৫০ লক্ষ উৎপাদনের টার্গেটের স্থানে পাওয়া গেছে ২৪ কোটি ৮৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ১শত ৭৪টি ডিম উৎপাদন অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

 

এব্যাপারে বরিশাল জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ড.নুরুল আলম বলেন, বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় এক জন করে প্রতিটি উপজেলায় ভেটেনারী চিকিৎসক থাকার পদ রয়েছে সেখানে আমাদের ৪ জন ভেটেনারী চিকিৎসক দিয়ে ১০ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের খামারীদের সেবা দিতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে কাজের গতি হারিয়ে ফেলছে ভেটেনারী চিকিৎসকরা।

 

এছাড়া জেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের ১শত ১০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর স্থলে মাত্র ৬৫ জন কর্মকতা-কর্মচারী নিয়ে এ দপ্তরের কাজ করতে হচ্ছে।

 

জেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরে শণ্যপদ পুরন করা না হলে আমাদের মুজিব বর্ষে যে টার্গেট রয়েছে তা পুরন করতে কতটুকু সক্ষম হব তা এখন ভাবনা বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।

 

আমার এখন জনবল সংকট রেখেই সকলকে সাথে নিয়ে দিন-রাত অতিরিক্ত সময় ব্যয় কাজ করতে হচ্ছে।

করোনা ভাইরাসক্যাম্পাসজাতীয়প্রচ্ছদ এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago