ঝালকাঠিতে নলছিটির সেই ইফটিজারদের পাকড়াও করার নির্দেশ দিলেন ডিআইজি

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার মগড় ইউনিয়নে কলেজ পড়–য়া দুই বোনকে অব্যাহত যৌন হয়রানী করে আসছে স্থানীয় ইফটিজাররা। ইফটিজার,ইফটিজারদের শেল্টারদাতা,মদদদাতাদের নানা কায়দায় হুমকীতে তটস্থ হয়ে জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করে আসছে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীদ্বয় ও পরিবারের সদস্যরা।

অবশেষে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি (ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল) মো: শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম ৪ আগস্ট রোববার দুপুরে ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপারকে কলেজ ছাত্রীদের হয়রানীকারী ইফটিজারদের পাকড়াও করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। ইফটিজারদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি ভুক্তভোগী পরিবারের নিরাপত্তারও নির্দেশ দেন কর্মজীবনে জনমনে ব্যাপক প্রশংসিত বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো: শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম ।

অননন্ধানে জানা গেছে- বরিশাল সরকারী মহিলা কলেজ’র এক ছাত্রী ও তার বড় বোন কলেজ ছাত্রীকে ঝালকাঠির নলছিটির মগড় ইউনিয়নের ডুবিল গ্রামের মুনসুর আলী হাওলাদারের বখাটে পুত্র সবুজ কর্তৃক যৌনহয়রানী করে আসছে। কলেজে পড়ুয়া দুই বোনকে অব্যাহত যৌন হয়রানীর প্রেক্ষিতে নলছিটি থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারন ডায়েরী করা হয়। যার নং-৭৯৪, তারিখ : ২১/০৭/১৯ ইং।

কিন্তু ডায়েরী করার পর শুরুতেই থানা পুলিশে দায়িত্বরত একেকজন কর্মকর্তা যৌন হয়ররানীকারী বখাটে যুবকসহ পরিবার ও বখাটের শেল্টারদাতা নলছিটির কুখ্যাত মাদক সম্রাট স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে গোপন বুনিবুনায় গভীর সখ্যতা গড়ে তুলে। অত:পর কলেজপড়ুয়া ছাত্রীদের জিডি তুলে নিতে নানানভাবে কলেজছাত্রীদ্বয় ও তাদের পরিবারের সদস্যদের হুমকী দিয়ে আসছে। বখাটে এবং শেল্টারদাতা কুখ্যাত মাদক সম্রাট স্থানীয় মগড় ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন কলেজ ছাত্রীদের বিপক্ষে গ্রাম্য মোড়ল টাইপের কয়েকজনকে লেলিয়েও দেয়, কতটা বর্বর হলে অমানবিক হলে এহেন ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ড করতে পারে।

যৌনহয়রানী/যৌনহয়রানীকারীদের রক্ষায় বেশ কয়েক লাখ টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নামে মাদক সম্রাট এনামুল হক শাহীনের সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র। এলাকায় চক্রের সদস্যদের চাউর ঘটায়-ওরা (বখাটে মুনসুর আলীর পুত্র সবুজ/শেল্টারদাতা শাহীন) কলেজ ছাত্রীদের কোন হয়রানী করছে না। এমনকি মাদক সম্রাট এনামুল হক শাহীন কলেজ ছাত্রীর সেলফোনে জিডি তুলে নিতে বর্বর চরম নোংরা আচরণ করে হুমকীও দিয়েছে। পরবর্তীতে ওসি ঘটনাস্থলে এসে বখাটে ও বখাটের শেল্টারদাতাদের সাথে নিয়ে এ বিষয়ে শান্ত থাকার নামে নামকাওয়াস্তে কথা বলে চলে যান।

আর ওসিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যান বখাটে সবুজ ও তার আশ্রয়প্রশ্রয়দাতারা। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময়ে বার বার ওসির সঙ্গে কলেজ ছাত্রী কথা বলার চেষ্টা করলেও পারেনি,কথা বলতে দেয়া হয়নি। যাওয়ার সময় ওসি বলে যান-সবকিছুর সমাধান হয়ে গেছে। আর কোন ঝামেলা নেই।

চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন কর্তৃক বরিশাল সরকারী মহিলা কলেজ ছাত্রীকে নোংরা ভাষায় গালাগাল ও হুমকী প্রদানের বিষয়টি থানার ওসিকে অবহিত করলে তখন তিনি বলেন- চেয়ারম্যান কেন কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করবে? এরপর বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান ওসি। ঝালকাঠি জেলার নলছিটির মগড় ইউপির ডুবিল গ্রামের মুনসুর আলী হাওলাদারের বখাটে পুত্র সবুজ কর্তৃক কলেজ ছাত্রীদের হয়রানী প্রসঙ্গে বলেন- বিষয়টি আমি দেখতেছি। প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে শান্ত থাকতে বলেছি,পরবর্তীতে সুবজ ও তার পরিবারকে এ নিয়ে উচ্চবাচ্চ না করার কথা বলে এসেছি। সবুজ ও তার পরিবার ভবিষ্যতে কোন সমস্য বা ক্ষতি করার চেষ্টা করে,সেই বিষয়টি আমি দেখবো বলে মন্তব্য করেন ওসি।

ওসি ঘটনাস্থল ত্যাগ করার কিছুক্ষন পরেই বখাটের মা দস্যু প্রকৃতির আনোয়ারা বেগম ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীদ্বয় ও তাদের পরিবারকে উদ্দেশ্যে করে কুরূচিপূর্ন ভাষায় আচরন এবং দেখিয়ে দেয়ার হুমকী দেয়। এরপরে বখাটেপুত্র সবুজ এসেও সেই আগের মতো দ্বাম্ভিকতার সুরে প্রকাশ করেন-পুলিশ আমার পকেটে থাকে,টাকা থাকলে আইন আদালত পুলিশ সবই কেনা যায়। কলেজ ছাত্রীদ্বয় ও পরিবারকে উদ্দেশ্যে করে আরো প্রকাশ করে,সামনে তোদের খবর আছে, তোদের মান সন্মান ইজ্জ্বত লুটে নিবো। এরূপ ঘটনার পরও ওইদিন ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী ওসিকে সেলফোনে বখাটে ও তার মা কর্তৃক বর্বর আচরন ও হুমকীর বিষয়টি অবহিত করেন। তৎসময়ে নলছিটি থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীকে বলেন- ওরা কি বলে তোমরা সব রেকর্ডিং করে রাখ,আমি আবার পরে এসে দেখবো।

কুখ্যাত মাদক সম্রাট এনামুল হক শাহীনের আমলনামা : ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার মগড় ইউনয়িন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন আরো আগেই এলাকায় গড়ে তুলেেছ সংঘবদ্ধ এক ভয়ঙ্কর অপরাধী চক্র। চেয়ারম্যান শাহীন এর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তাঁর ভয়ে তটস্থ এলাকার সাধারন মানুষ। এরফলে এলাকার শান্তিপ্রিয় নারী পুরুষ অতিষ্ঠি, তার অস্ত্রধারী বাহিনীর ভয়ে সাধারন জনগণ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না। মাদক মাদক বাণিজ্য, অস্ত্র ব্যবসা, ভাড়ায় সন্ত্রাসী র্কমকাণ্ড, কিলিং মিশিনসহ অন্তহীন অভিযোগ রয়েছে মাদক সম্রাট শাহীনের বিরুদ্ধে। এমনকি যৌণ নিপীড়নকারীও এই শাহীন। এবং তার সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র। স্কুল-কলজেগামী মেয়েদের র্টাগেট করে যৌণ হয়রানী করার অভিযোগও রয়েছে মাদক সম্রাট শাহীনের বিরুদ্ধে।

যৌণ হয়রানীকারীদের অন্যতম শেল্টারদাতাও অস্ত্র ব্যবসায়ী এনামুল হক শাহীন। আইন শৃঙ্খলা বািহনীর হাতে বিপুল পরমিাণ ফেনসিডিল গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। জামিনে বেরিয়ে অসংখ্য অপকর্মের হোতা এনামুল হক শাহীন আরো বেপরোয়া হয়ে পুরো মগড়সহ আশপাশ এলাকায় মাদক,অস্ত্র ব্যবসাসহ ভাড়ায় সন্ত্রাসী র্কমকাণ্ডে মরিয়া হয়ে উঠে। প্রশ্ন হচ্ছে- যেখানে সরকার মাদক,যৌণ হয়রানী,অস্ত্র ব্যবসায়ী,সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে র্হাডলাইনে অবস্থান করছেন।

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর র্শীষ পর্যায়ের র্কমর্কতারাও স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করে মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি যৌণ নিপীড়নকারী বা যৌণহয়রানীকারীদের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স। এরপরও একটি ইউনি পরিষদের চেয়ারম্যান, যিনি মাদক সম্রাট হিসেবে বহুল পরচিতি। মাদক সম্রাট এনামুল হক শাহীন, তার ভাই আরেক ইয়াবা ব্যবসায়ী সবুজ হাওলাদারের অপকর্মের বিরুদ্ধে অসংখ্যবার বিভিন্ন পত্রিকায় মিডিয়ার শিরোনাম বনে গেছেন। তবুও কোন এমন অদৃশ্য শক্তেিত মাদক সম্রাট শাহীন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা বহাল কবিয়তে থেকে অপরাধের স্বর্গ রাজ্যে টিকিয়ে রাখছেন। জনশ্র“তি রয়েছে- স্থানীয় থানা পুলিশের কয়েক অসাধু পুলশি সদস্যদের সাথে গোপন বুনবিনায় গভীর সখ্যতায় মাদক সম্রাট এনামুল হক শাহীন তার অপরাধ সাম্রাজ্যের পরিধি বেড়েই চলছে। এ যেনো আরেক এরশাদ শিকদার। অসমর্থিত একাধিক সূত্রের ভাষ্য- র্বতমান সরকার যেখানে মাদক ব্যবসায়ী,সন্ত্রাসী, যৌণহয়রানীকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারন্সে নীতিতে, এরকম পরস্থিতিতে মাঠ পর্যায়ের অসাধু পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে গোপন লেনদেনের বুনিবনায় একজন ভয়ঙ্কর অপরাধী কিভাবে কোন অশুভ শক্তির শেল্টারে অপরাধের ফিরিস্তি রচনা করে চলছেন। এনামুল হক শাহীন নলছিটির মগড় এলাকার মোশারেফ হোসেনের ছেলে ।

২০১৬ সালের ২২ র্মাচ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচন নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগে থেকে শাহীন এলাকায় ফেনসিডিলের কারবার করতেন। চেয়ারম্যান হয়ে ফেনসিডিল কারবার প্রসার করনে। ২০১১ সালের ৩০ ডিসেম্বর নলছিটির বড়প্রেমহার গ্রামীণফোন টাওয়ার লাগোয়া ঝালকাঠি বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কে একটি প্রাইভটে কারে তল্লাশি চালিয়ে দুই হাজার দুই বোতল ফেনসিডিলসহ শাহীনকে আটক করে র‌্যাব।

এ সময় শাহীনের সহযোগী প্রাইভেট কারের চালক মাসুম বিল্লাহকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় বরিশাল র‌্যাব-৮-এর উপসহকারী পরচিালক (ডিএডি দেলোয়ার হোসেন নলছিটি থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করনে। কিছুদিন জেলহাজতে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান শাহীন। জেল থেকে বের হয়ে আবার শুরু করেন ফেনসিডিল বিক্রি। মগড়জুড়ে গড়ে তোলে মাদকের আখড়া । এখানে বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও বাকেরগঞ্জ থেকে ক্রেতারা এসে ফেনসিডিল সেবন করত,করে।

২০১২ সালের ২৭ মে মামলার তদন্ত র্কমর্কতা শহিদুল ইসলাম আসামি শাহীন ও মাসুম এর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন। ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর ঝালকাঠির পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গ্রেপ্তারী পরোয়ানাটি পাঠানো হয়। পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা পাঠানো হয় নলছিটি থানায়। অপরদিকে বড় ভাইয়ের দেখানো পথে হাঁটছেন ছোট ভাই সবুজ হাওলাদার। র্দীর্ঘদিন ধরে তিনি মগড় ইউনিয়ন ও আশপাশ এলাকায় ইয়াবা বিক্রি করছেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম’র নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই গ্রামের জামাল হাওলাদারের বাড়িতে অভিযান চালায়। সবুজ ও তাঁর সহযোগী খাইরুল হাসান ঘরের ভেতরে ইয়াবা বিক্রির জন্য প্যাকটে করেছিলেন। পুলিশ সবুজকে গ্রেপ্তার করলে পালিয়ে যান খাইরুল। এ সময় ১০০ পিস ইয়াবা, নগদ ৫০০ টাকা ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। মগড় ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন সাংবাদিকদের বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। সমাজে আমাদের হয়ে করার জন্য একটি পক্ষ উঠেপড়ে লেগেছে। আমি ও আমার ভাই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নই।’

বরিশাল সরকারী মহিলা কলেজ এর এক ছাত্রীকে যৌণ হয়রানী ও হুমকী প্রসঙ্গে বলেন- একটি বিষয়ে ওই কলজে ছাত্রীর পিতার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তাকে ফোনে ধরিয়ে না দিয়ে কলজে ছাত্রী ফোন ধরলে আমার মাথাটা গরম হয়ে যায়। এ কারণে কিছুটা কলেজ ছাত্রীকে বকাবকি করেছি। নোংরা ভাষায় গালাগাল এবং কলেজ ছাত্রীকে দেখিয়ে দেয়ার হুমকী প্রসঙ্গে বলেন-তখন মাথাটা অনকে গরম ছিলো । দ্বাম্ভিকতার সুরে বলেন-আমি এলাকার চেয়ারম্যান, আমি যা বলবো তাই হবে।

বলাবাহুল্যা : যৌন হয়রানির ঘটনাকে নাটক বানাতে চেয়েছিলেন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতকে যৌন হয়রানির অভিযোগ করতে গিয়ে ফেনীর সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কক্ষে আরেক দফা হয়রানির শিকার হতে হয়েছিল । বিকৃত মানসিকতার মোয়াজ্জেম হোসেন এর মতো যৌন নীপিড়নকারী চরিত্রের ওসি কী দেশে আর নেই ? বরিশাল বিভাগের প্রেক্ষাপটে মোয়াজ্জেমের মতো অসভ্য বর্বর প্রকৃতির ওসি কী নেই ? তবে কেন অব্যাহত যৌন হয়রানীর শিকার কলেজ ছাত্রী দুই বোন জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতায় থাকা, অনেকটা হয়রানীর শিকার ছাত্রীদের প্রাণ কেড়ে নিতেই যেনো মোটা অঙ্কের লেনদেনের বিনিময়ে ইফটিজার,ইফটিজারদের শেল্টারদাতাদের সঙ্গে নিয়ে ওসির ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ? এতে কী ইফটিজারদের আরো উস্কে দেয়ার সামিল কিনা ? ওসি যেনো ইফটিজারদের মদদদাতা না হন এটাই অভিজ্ঞমহলের কাম্য ।

এদিকে পুলিশ বিভাগের সাহসী ও মেধাবী হিসেবে সর্বমহলে প্রশংসিত কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলাম-বিপিএম(বার), পিপিএম। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি আদর্শবান, শতভাগ পেশাদার ও ন্যায়পরায়ণ। তার কর্মদক্ষতার ছোয়া সমৃদ্ধ করেছে পুলিশ বাহিনীকেও। বরিশাল রেঞ্জে তার যোগদানের পাল্টে গেছে পুলিশের চিত্র। রেঞ্জ ডিআইজি ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বলেছেন- পুলিশ শাসক নয়, শোষক নয়, পুলিশ জনগণের সেবক। এই মন্ত্রে উজ্জীবিত এখন পুরো বরিশাল রেঞ্জের পুলিশ।

এ কারণে হ্রাস পেয়েছে পুলিশ কর্তৃক মানুষের হয়রানি। ইতিমধ্যে তিনি সাধারণ মানুষের পাশাপাশি জয় করে নিয়েছেন অভিভাবক মহলেরও মন। এলাকার যুবসমাজ যখন মাদকের ছোবলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে তখন মাদকের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছেন তিনি। তার দক্ষ তদারকিতে মাঠপর্যায়ে সদস্যদের মাঝেও পেশাদারিত্ব এসেছে। পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অভিযোগ লাঘবে ডিআইজির বিচক্ষণতা অনেকাংশেই প্রশংসার দাবি রাখে।

গত বছরের ২৬ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশের মাধ্যমে বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি পদে দায়িত্ব পান মো. শফিকুল ইসলাম। এর আগে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বেশ সুনাম অর্জন কুড়িয়েছেন। পুলিশের নেয়া উদ্যোগে সাড়া দিয়ে ডিআইজির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন অনেকে।

পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের যথাযথ পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বাল্যবিয়ে, ইভটিজিং আর মাদকের ভয়াবহতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে বিভাগজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাধারণ জনগণ যাতে সহজে পুলিশের সেবা পেতে পারে সেজন্য এ পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হয়েছে। বরিশাল রেঞ্জে যোগদানের পর আগুনঝরা দীপ্তকণ্ঠে ঘোষণা দিয়েছিলেন- ‘বরিশাল বিভাগে আমি থাকব, না হয় মাদক ব্যবসায়িরা থাকবে।’