চলতি অর্থবছরে (২০১৭-১৮) ইলিশের উৎপাদন ৫ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘মোট মাছের উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়ে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার টন হবে বলে আশা করা যায়।’
সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি এ কথা বলেন।
মৎস্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৩১ শতাংশ মানুষ মৎস্যখাতে জড়িত এবং ১১ শতাংশের অধিক লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এর ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের মোট উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আসে শুধু ইলিশ থেকে। দেশের জিডিপিতে (মোট দেশজ উৎপাদন) ইলিশের অবদান এক শতাংশের অধিক। কাজেই একক প্রজাতি হিসেবে ইলিশের অবদান সর্বোচ্চ।’
মাত্র ৯ বছরের ব্যবধানে ইলিশের উৎপাদন ৬৬ শতাংশ বেড়েছে জানিয়ে নারায়ণ চন্দ্র বলেন, ‘২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৯৮ হাজার টন, যা বৃদ্ধি পেয়ে গত ৯ বছরে প্রায় ৫ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে, যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা।’
‘বর্তমান সরকারের ব্যাপক উদ্যোগের ফলেই মৎস্যখাতে অভূতপূর্ব উন্নতি হওয়ায় দেশ আজ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পেরেছে। বিশ্বে ইলিশের উৎপাদনে বাংলাদেশ যেমন প্রথম স্থানের অধিকারী তেমনই আমরা একাই ৭০-৭৫ ভাগ ইলিশ উৎপাদন করে থাকি,’- বলেন তিনি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ২০০৪-০৫ থেকে ২০০৭-০৮ অর্থবছর পর্যন্ত জাটকা আহরণ নিষিদ্ধিকালীন পরিবারপ্রতি মাসিক ১০ কেজি হারে চাল দেয়া হয়। বর্তমানে তা বাড়িয়ে ৪০ কেজি করা হয়েছে। তাছাড়া ২০০৭-০৮ সালে এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৩৫টি জেলে পরিবার এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত থাকলেও বর্তমানে পরিবারের সংখ্যা ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭৪টিতে উন্নীত হয়েছে।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬৮ হাজার ৩০৫ টন মাছ ও মাছজাতীয় পণ্য রফতানি করে ৪ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে, যা ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিল ৩ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা।