দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের পদ থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেয়া মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ জুন) থেকে স্বেচ্ছা অবসর মঞ্জুর করে এর আগেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়েছিল। যদিও আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত চাকরির মেয়াদ ছিল মোজাম্মেল হকের।
দুদকের কমিশনার (অনুসন্ধান) নাসিরউদ্দিন আহমেদের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২৫ জুন। এজন্য একজন কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ দিতে আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠন করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এই কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির এ সংক্রান্ত ফাইল অনুমোদনের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হল। বাছাই কমিটি কমিশনার নিয়োগ দিতে দু’জনের নাম প্রস্তাব করে থাকে, সেখান থেকে একজনকে নিয়োগ দেয় রাষ্ট্রপতি।
নিয়োগের আদেশে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের বিধানমতে বিদ্যমান সরকারি আর্থিক বিধিবিধান প্রতিপালন (পিআরএল বাতিল ইত্যাদি) সাপেক্ষে মোজাম্মেল হককে দুদক কমিশনার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
দুদকের কমিশনার হিসেবে তিনি কমিশনের বেতন, ভাতা, অন্যান্য সুবিধা ও সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের সমান পদমর্যাদা ভোগ করবেন বলে আদেশে বলা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী, কমিশন তিনজন কমিশনারের সমন্বয়ে গঠিত হয়। তাদের মধ্য থেকে রাষ্ট্রপতি একজনকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করেন। কমিশনারদের মেয়াদ পাঁচ বছর।
বিসিএস ১৯৮২ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক এর আগে সড়ক বিভাগ; বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন।