প্রকৃতপক্ষে মামলাটির বাদি শিউলি বেগম বিগত ২/০১/১৮ ইং তারিখে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি লিখিতো অভিযোগ দেন। তাতে ১নং আসামী আসাদ খান (২০) সহ আরো তিনজনকে অভিযুক্ত করে যা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী- ৩ )এর ৯(১)/৯-ক ৩০ ধারায় রুজু করা হয়। অভিযোগে, বাদী শিউলি বেগম উল্লেখ করেন। ১নং আসামী আসাদ খান তার মেয়ে সোনিয়া (১৩) কে বাড়ির উঠানে ঝাড়ু দেবার সময় একা পেয়ে, ডিম বেজে দিতে সহায়তা করার জন্য ফুসলাইয়া ঘরে ডেকে নেয়। পরে সুযোগ বুজে জোড় পূর্বক ধর্ষন করে, বিষয়টি পাশের লোকজন দেখে ফেললে, তাদের সহায়তায় সোনিয়া ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধকরে ফেলে। এক পর্য্যায় লোক লজ্জার কথা চিন্তাকরে, ভীত হয়ে , ঘরের ভিতরে রক্ষিত কেরাসিন নিজ গায়ে ঢেলে আত্বহত্যার চেষ্টা চালায়। তৎক্ষানিক উপস্হিত লোকজন দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। গুরুত্বর আহত অবস্হায় উদ্ধার করে প্রথমে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করেন।
ঢাকা মেডিকেলে হস্তান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা কালিন। বিগত ৩১/১২/২০১৭ ইং তারিখে তার মৃত্যু হলে। শাহবাগ থানা ডি এম পি ঢাকায় ০১/০১/২০১৮ইং তারিখে সাধারন ডাইরী হয় যার নং ১৫। পরে মৃত্যু দেহ সুরাতহাল রিপোর্ট করিয়া, উক্ত হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ নিজ গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করা হয়। বিষয়টি ব্যপক তদন্ত, সুরাতহাল রিপোর্ট ও ময়না তদন্তের রিপোর্টের উপর ভিক্তি করে বাকেরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদুজ্জামান। মামলার ১নং আসামী আসাদ খানের বিরুদ্ধে ঘটনার সাথে জড়িতো থাকার প্রমান পেয়ে। তাকে বিগত ১৬/০২/১৮ তারিখে যশোর সেনানিবাস এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ্দ করেন। বাদির অভিযুক্ত অন্য আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন সত্যতা প্রমান পাওয়া যায়নি। এছাড়া অন্য অভিযুক্তরা আসামী আসাদের সম্পার্কে বাবা ও বড় ভাই হন।
যা স্বাভাবিক কারনেই বাদীর ক্ষোভের প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ হিসাবে প্রমানিত হওয়ায়। বিচক্ষণ পুলিশ অফিসার মাসুদুজ্জামান তাদের মামলা থেকে অবহতি দিয়ে আসামী আসাদ খানের নামে ১৪/০৫/২০১৮ তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী -০৩) এর ৯- ক ধারায় বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। যা সম্পূর্ণ আইনানুগ প্রক্রিয়ায় কোন প্রকারের অবৈধ লেনদেন কিবা অনিয়ম ছাড়াই সম্পন্ন করেন বলে ওসি মাসুদুজ্জামান জানান। তিনি আরো বলেন আমার দেওয়া চার্জশিটে বাদীর মনঃপূর্ত না হলে তিনি বিজ্ঞ আদালতে সহজেই না রাজি পেশ করতে পারেন। যেহেতু মেডিকেলের রিপোর্টের উপর ভিক্তি করে মামলার ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভুলত্রুটির দ্যায় ভার আমার উপর বর্তায় না। বিষয়টি আমি বুঝিয়ে বলার পর ও উপরে উল্লেখিত দুষ্টচক্রটি বাদীকে উস্কে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আমার চলমান অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেন।