খেলাপি গ্রাহক যেন নতুন করে ঋণ নিতে না পারে সেই জন্য কঠোর হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাই এখন থেকে সর্বনিম্ন এক টাকা ঋণ দিতে হলেও ব্যাংকগুলোকে ঋণ তথ্য ব্যুরোর (সিআইবি) ছাড়পত্র নিতে হবে। একই সঙ্গে জালিয়াতি রোধে ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তির তথ্য
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আলাদা তথ্যভাণ্ডারে পাঠাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো এ সংক্রান্ত দুটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
এতদিন ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা এবং অন্যসব ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকার বেশি ঋণের তথ্য সিআইবিতে থাকত।
সিআইবি সম্পর্কিত সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংক খাতের ঋণ শৃঙ্খলা জোরদার করার লক্ষ্যে সিআইবি ডাটাবেজে সব ধরনের ঋণতথ্য অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে সিআইবিতে ঋণতথ্যের নিম্নসীমা নির্ধারণ করা হলো এক টাকা। এখন থেকে এক টাকা বা তার চেয়ে বেশি বকেয়া ঋণের তথ্য সিআইবি অনলাইন সিস্টেমে মাসিকভিত্তিতে আপডেট করতে হবে। মার্চ থেকে এ-সংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে। মার্চ মাসের তথ্য পাঠাতে হবে আগামী ১০ মের মধ্যে। প্রতি মাসের তথ্য আপলোড করতে হবে পরবর্তী মাসের ২০ তারিখের মধ্যে।
বন্ধকি সম্পত্তির আলাদা তথ্যভাণ্ডার
অনেক সময় একই সম্পত্তি একাধিক ব্যক্তি বন্ধক রেখে ঋণ নেন। এ ধরনের জালিয়াতি বন্ধে বন্ধকি সম্পত্তির তথ্যভাণ্ডার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে সার্কুলারে বলা হয়েছে, ঋণের বিপরীতে জামানত-সংক্রান্ত প্রতারণা ও দুর্নীতি রোধকল্পে বন্ধকি সম্পত্তির তথ্যভাণ্ডার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে প্রতি ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে জামানতি ভূমি, দালান, ফ্ল্যাট এবং যন্ত্রপাতির তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতার পরিচিতিমূলক তথ্যের পাশাপাশি জামানতি সম্পত্তির মালিক এবং সম্পত্তির বিষয়ে তথ্য দিতে হবে। চলতি বছরের মার্চে ত্রৈমাসিক থেকে তথ্য পাঠাতে হবে। প্রথম ত্রৈমাসিকের তথ্য আগামী ৩১ মের মধ্যে পাঠাতে হবে। আর জুন থেকে পরবর্তী মাসের ২০ তারিখের মধ্যে তথ্য আপডেট করতে হবে।