দেশের অবস্থা খুবই শোচনীয়। পেপার, মিডিয়া, অনলাইন দেখলে শুধু ধর্ষণ আর ধর্ষণ। সরকার এর বিষয়ে যদি সঠিক পদক্ষেপ নিতো, যেমন পূর্বে জঙ্গিদের উপর যে রকম সরকার তৎপর ছিল। ঠিক সেরকম করে ধর্ষকদেরকেও ক্রস ফায়ারিং দিতো, তাহলে কিছু না কিছু ধর্ষণের হাত থেকে নারী জাতি লোকেরা রক্ষা পেতো।
বর্তমানে যেহারে দেশের বিভিন্ন যায়গায় ধর্ষন শুরু হয়েছে তাতে নতুন আইন চালু করা খুব জরুরী। অপরাধ অনেক কমে যেত। প্রধানমন্ত্রীর হত্যাচেষটা রায়ের মত ধর্ষক, খুনীদের বিচার গুলি করে মারার আইন করা দরকার।
ধর্ষণ কি তা নিশ্চয়ই কাউকে বুঝিয়ে বলার দরকার নেই। তবুও বলতে হয় ধর্ষণ বলতে বুঝায়,” বেআইনী ভাবে কারো মতের বিরুদ্ধে তার শরীরের যৌনঅঙ্গ সমুহের ব্যবহার”। ধর্ষণের সাথে জোরপুর্বক শাররীক সম্পর্ক যুক্ত, ধর্ষণ মানে প্রচণ্ড আবেগ কিংবা অন্তরঙ্গ শাররীক মিলন নয়। ধর্ষণ হচ্ছে একপ্রকার আগ্রাসন এবং সহিংস অপরাধ। ধর্ষণ-শব্দটি শুনলেই প্রাথমিক ভাবে আমাদের মনে যে দৃশ্যপট সৃষ্টি হয় তা হলো অপরিচিত কোন পুরুষ কিংবা নারীর কোন নির্জন স্থানে বিপরীত লিঙ্গের কারো সাথে জবরদস্তি শাররীক সম্পর্ক স্থাপন করা। অপরিচিত মানুষ দ্বারা জোরপুর্বক শাররীক সম্পর্কই শুধু ধর্ষণ নয় – এর বাহিরেও অনেক প্রকার ধর্ষণ আছে। প্রেমিকাকে নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে তার অমতে শাররীক সম্পর্ক স্থাপন সহ পারষ্পরিক সম্মতির বাহিরে স্বামী স্ত্রীর শাররীক মিলনও ধর্ষন হিসেবে পরিগনিত। দুঃখজনক ভাবে সত্য যে – ধর্ষণের শিকার যেকোন নারী/পুরুষের ৫০% (আমাদের দেশে আনুমানিক ৯০%) ধর্ষকের পুর্বপরিচিত বন্ধু কিংবা আত্মীয়।
কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষনের কথা শুনা যায়। এই জেলায় জোর পূর্বক ধর্ষন। স্কুল শিক্ষিকাকে জোর পূর্বক ধর্ষন। প্রেমিকাকে জোর পুর্বক গণধর্ষন। আসোলে এর সততা কি ধর্ষন? নাকি অন্যকিছু? ধর্ষনের অভিযোগগুলো দেখুনঃ গত ১৮ আগষ্ট ১৭ তারিখে পত্রিকায় পাতায় দেখতে পেলাম বরিশাল বিভাগের বরগুনার বেতাগী উপজেলায় স্কুলের ভেতরে স্বামীকে আটকে রেখে শিক্ষিকাকে ধণর্ষন করেছেন। এবিষয় মামলা করা হয়েছে ঐ বেতাগী থানায়। ১৭ আগষ্ট ১৭ তারিখে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে অনৈতিক সম্পর্কের পর এক প্রবাসীর স্ত্রীর অশ্লীল ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২০ আগষ্ট ১৭ তারিখে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনের এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে একজন নারী পুরুষ ধর্ষমেনর অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাও হয়েছে।
অন্যদিকে আজ ২১ আগষ্ট ১৭ তারিখে সকালে শ্রীমঙ্গলে রাস্তা থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে ১০ম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন সন্ত্রাসীরা। থানায় মামলা করেছেন। ৯ আগষ্ট ১৭ তারিখে রংপুরে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে তার স্থির ও ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার দায়ে নুর মোহাম্মদ (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৯ আগষ্ট একইদিনে ঢাকার বনানীতে লিফট দেবার অজুহাতে প্রাইভেট কারে তরুণীর শ্লীলতাহানি! ঘটনায় মামলাও হয়েছে। সারা দেশে একের পর এক লাগামহীন ধর্ষণ ও হত্যার বিচার দাবিতে মানবন্ধনও করাও হয়েছিল বিভিন্ন জেলায় জেলায়। ঐসব মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। কিন্তু কোথায় মানবতা? কোথায় আজ দেশের মা বোনদের ইজ্জত? কি বিচার হচ্ছে? অসহায় একটি পরিবারের মেয়েকে প্রভাবশালী ধর্ষন করলে তার বিচার হয়না! মেয়েজাতীয় চায় এইসব আতঙ্কিত ধর্ষণ থেকে বাঁচতে।