৫৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের এলাকা এবার ডিজাইন করার উদ্যোগ নিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিন বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা। বরিশালের সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষের সমন্বয়ে এই ডিজাইন করা হবে। ইতোমধ্যে বরিশালের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের সাথে মতবিনিময় করেছেন তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বরিশাল প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় কালে তারা এসব তথ্য জানান।
কুয়েট স্থাপত্য ডিসিপ্লিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিবু প্রসাদ বসু জানান, ২০১০ সালে পাশ হওয়া মাস্টার প্লানটি স্থানীয় মানুষের অনুপস্থিতিতে করা হয়েছে। সেখানে স্থানীয় কোন মতামত নেয়া হয়নি। যে কারণে এর বাস্তবায়ন ঘটছে না। কিন্তু বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে জনসম্পৃক্ততা নিয়ে এখন আমরা একটি ডিজাইন করতে চাই। তাই বিভিন্ন মানুষের সাথে তারা কথা বলছেন। তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। জলাবদ্ধতা, মশা-মাছি রোধ ও যানজট মুক্ত করার দিয়ে দৃষ্টি দিয়ে ডিটেইল ডিজাইনটি করছি। যা আগামী ২ মাসের মধ্যে বরিশালবাসীর মাঝে উপস্থাপন করা হবে। জানা গেছে, ১৮৬৯ সালে বরিশাল টাউন কমিটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৭৬ সালে বরিশাল মিউনিসিপ্যালিটিতে উন্নীত হয়।
১৯৮৫ সালে একে একটি প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০০২ সালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন ২০০২ এর মাধ্যমে পৌরসভা বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হয়। বর্তমানে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসকারী জনসংখ্যা প্রায় ৫ লক্ষ। বর্তমানে ৩০টি ওয়াার্ড নিয়ে গঠিত সিটি কর্পোরেশনে ৩০ জন সাধারণ আসনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হন এবং ১০ জন সংরক্ষিত আসনে মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। সর্বোশেষ ২০১০ সালে বরিশাল সিটি মাস্টার প্লান পাশ করা হয়। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ মাস্টার প্লান অনুযায়ী নগরায়ন হচ্ছে বললেও সাধারণ মানুষ এবং সুশিল সমাজ দাবী করেছে এখানে মাস্টার প্লান শুধু কাগজে কলমে।