দীর্ঘ ৬ বছর পর বরিশালে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর বরিশালে আগমন অনেক গুরুত্ব বহন করছে বলে জানিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। তার আগমনকে ঘিরে বেশ কিছু দাবি রয়েছে বরিশালবাসীর।
চাওয়া-পাওয়ার বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, আমরা পদ্মা সেতু, পায়রা বন্দর, ফোরলেন, রেললাইন না চাইতেই সবই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এবার জনসভায় বরিশাল বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত, বরিশালে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ভোলার গ্যাস বরিশালে আনা, বানারীপাড়া সন্ধ্যা নদীতে সেতু নির্মাণ, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ভেটেনারি অনুষদ রয়েছে সেটাকে স্বতন্ত্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তর করার কথা আমরা নেত্রীর কাছে তুলে ধরবো।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরি দুলাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের সবই দিয়েছেন। তারপরও কিছু অসমাপ্ত কাজ রয়েছে সেগুলোর কথা আমরা তাকে বলবো। সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে কিছু নতুন দাবির কথাও তুলে ধরবো।
সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে কিছু দাবি এসেছে। বরিশাল বিএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শিক্ষাবিদ স. ম ইমানুল হাকিম বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অনেক কিছু পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর বরিশালের প্রতি যে সুদৃষ্টি রয়েছে তা যেন আগামীতেও অব্যাহত থাকে সে কামনা করি। দক্ষিণবঙ্গে আজও চালকল নেই, চালকল হলে আমরা এখানকার চাল এখানেই পাবো, চাষিও উপকৃত হবে।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কাজল ঘোষ বলেন, প্রধানমন্ত্রী কর্মের মধ্য দিয়ে সবার অন্তরে জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি সবসময় বরিশালের জন্য কাজ করেছেন। আমরা যারা সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো বরিশালে একটা অডিটরিয়ামের, যার কাজও প্রায় শেষের দিকে। শিল্পকলা যেটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলো তারও আধুনিক ভবন তৈরি হচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা বরিশালের সাংস্কৃতিক অঙ্গন আরও সমৃদ্ধ হবে।
প্রবীণ সাংবাদিক অ্যাডভোকেট মানবেন্দ্র বটব্যাল বলেন, যদি নির্দিষ্ট করে দাবির কথা ওঠে তবে ভোলার গ্যাস বরিশালে আনা, প্রাকৃতিক গ্যাসের মাধ্যমে বরিশালের গ্যাস-টারবাইন চালানো, কুয়াকাটা পর্যন্ত মহাসড়ক ফোরলেনে উন্নীত করা, ঢাকা-বরিশাল নৌপথ ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর আওতায় আনা, বিএম কলেজে আলাদা পরীক্ষার হল নির্মাণ, অর্থনৈতিক জোন দ্রুত নির্মাণ করা উল্লেখযোগ্য।