#

লাখ টাকার জাল নোটসহ সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর একটি বিশেষ দল সোমবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন নবীনগর হাউসিং সোসাইটির ১নং রোডের বেড়ীবাঁধের উপর থেকে তাদের আটক করে।

আটকরা হলেন- জালাল উদ্দিন (২৯), রিপন খান (৩২) মোছা. মনিরা (২৭)। র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান বলেন, ‘অসাধু প্রতারকচক্র দেশব্যাপী জাল টাকা ছড়িয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কুরবানির পশুর হাটে লেনদেন করার জন্য জাল নোট বানাচ্ছে। এক শ্রেণির অসাধু চক্র আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন পদ্ধতিতে জাল টাকা তৈরি করে বাজারে ছাড়ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে ১০০ টাকার নোটকে সিদ্ধ করে পাঁচশত টাকার নোটের ছাপ দিয়ে তৈরি করে। এছড়া বিশেষ রং, কাগজ ও প্রিন্টার ব্যবহার করে তৈরি করে। জাল নোটগুলো দেখে আসল না নকল চেনা সাধারণ জনগণের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার সক্রিয় প্রতারকচক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে র‌্যাব।’

এএসপি মিজান বলেন, ‘জাল টাকা সিন্ডিকেটভিত্তিক, নিজস্ব পদ্ধতি, সাংকেতিক ভাষা ও ছদ্মনাম ব্যবহার করে বাজারজাত করে। জাল টাকা তৈরি থেকে শুরু করে বাজারজাত পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে স্তরভিত্তিক লোক কাজ করে।’

আটক জালাল উদ্দিন (২৯) জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, জাল টাকা দু’ভাবে মূদ্রণ করা হয়। ভালো মানের কাগজে আঁঠা ও সিকিউরিটি থ্রেড বসিয়ে ভাঁজ করা হয়। এরপর স্ক্যানার ও প্রিন্টিং মেশিনের সহায়তায় সূক্ষভাবে যে কোনো মূল্যের জাল টাকা তৈরি করা হয়। এছাড়াও ওয়াশ পদ্বতিতেও জাল নোট তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে আসল টাকার নোট ওয়াশ করে শুকানো হয়। পরে ওই নোটের ওপর টাকার অংক বসিয়ে ছাপ দেয়া হয়।

আসামি আরও জানায়, ১০০ টাকার নোট ওয়াশ করে সাদা করে তার ওপর ৫০০ টাকার অংক বসিয়ে বাজারে ছাড়া হয়। তিন ধাপে জাল টাকা বাজারে ছাড়া হয়। প্রথম ধাপে পাইকারি হিসেবে এক লাখ টাকার একটি বান্ডেল ২৫-৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। ২য় ধাপে পাইকারি কারবারীরা আবার এসব টাকা খুচরা কারবারির কাছে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে।

তিনি জানান, তৃতীয় ধাপে খুচরা কারবারিরা এসব টাকা নিজস্ব বাহিনীর মাধ্যমে সরাসরি সুকৌশলে ঢাকার লালবাগের কেল্লা মোড়, বাবুবাজার, আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড, আজিমপুর গোরস্থান, গুলিস্তান ও কামরাঙ্গীচরসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হয়। নোট জালকারীদের প্রধান টার্গেট অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, বৃদ্ধ, দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের লোক।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন