জাতীয় দলের ১৫ ফুটবলার নিয়ে চমক নাসরিনের

লেখক:
প্রকাশ: ৮ মাস আগে

দেশের নারী ফুটবল লিগে পরিচিত নাম নাসরিন স্পোর্টস একাডেমি। মোহামেডান-আবাহনীর মতো ঐতিহ্যবাহী ক্লাবগুলোকে লিগে দেখা না গেলেও তৃণমূলের সংগঠক নাসরিন আক্তার বেবির নামের এই ক্লাবটি খেলে আসছে প্রতিটি আসর।

অনিয়মিত হওয়া লিগ ২০১৯-২০ মৌসুম থেকে আবার নিয়মিত। ওইবার নাসরিন স্পোর্টস একাডেমি রানার্সআপ হয়েছিল। এটাই নারী লিগে ক্লাবটির সবচেয়ে বড় অর্জন। গত দুই আসরে তারা লিগ শেষ করেছিল ৬ ও ৫ নম্বরে থেকেই। সেই দলটিই এবারে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রধান দাবিদার। দলবদলের শেষ দিনে রোববার নাসরিন স্পোর্টস একাডেমি জাতীয় দলের ১৫ জনসহ ২৫ খেলোয়াড় নিবন্ধন করে মহা চমক দেখিয়েছে।

 

সর্বশেষ তিন লিগের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস এবার অংশ নিচ্ছে না। আর্থিকভাবে শক্তিশালী এই ক্লাবটি নারী লিগ থেকে নাম প্রত্যাহার করায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল সাবিনা-সানজিদাদের অংশগ্রহণ। তবে শেষ দিকে নাটকীয়ভাবে তারকাদের দলে ভিড়িয়েছে নাসরিন একাডেমি।

গত তিন মৌসুমে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের গড়ে ৫-৬ লাখ টাকা করে পারিশ্রমিক দিয়েছিল বসুন্ধরার দলটি। নাসরিন স্পোর্টস একাডেমির মতো একটি মিডিওকার দল কিভাবে তারকাদের নিয়ে আলেচিত হলো? ক্লাবটির বাজেটই বা কত?

রোববার দলবদলের পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বাজেটের বিষয়টি প্রকাশ করেননি ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা নাসরিন আক্তার বেবি, ‘আমরা বাজেটের বিষয়টি বলতে চাই না। তবে কিছু স্পন্সর নিয়েছি। আরো নেওয়ার চেষ্টা করবো। আমাদের ক্লাবের কর্মকর্তারা মিলে সব আয়োজন করছি।’

ধন্যাঢ্য দল বসুন্ধরা কিংসে খেলে যে পারিশ্রমিক পেয়েছেন নতুন ক্লাব থেকে তার কাছাকাছি পাবেন? নাসরিন স্পোর্টস একাডেমির অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া সাবিনা খাতুন বলেন, ‘হ্যাঁ, কাছাকাছি। নাসরিন আক্তার বেবি আপার আন্তরিকতা, আমাদের ভালোবাসা মিলিয়েই সবাই এই দলে খেলছি।’

জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা থাকেন বাফুফে ভবনের ক্যাম্পে। থাকবেন লিগ চলাকালীনও। এর আগে আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজ স্পোর্টিং ক্লাবের ক্যাম্প বাফুফে ভবনে হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বসুন্ধরা কিংস।

এবার আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজ স্পোর্টিং ক্লাবের পাশাপাশি নাসনির স্পোর্টস একাডেমির খেলোয়াড়রাও থাকবেন বাফুফে ভবনে। এ বিষয়ে বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারপার্সন মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেছেন, ‘মেয়েরা বাফুফে ভবনে থাকবে। আমরা যে খাবার ওদের দিয়েছি, সেভাবেই চলবে। শুধু টাকাটা দেবে নিজ নিজ ক্লাব। তাছাড়া মেয়েদের থাকার একটা নিরাপত্তার বিষয়ও আছে।’

নারী লিগে নাম লিখিয়েও না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তবে শেষ দিনে তারা খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাতে ৯ দল নিয়েই ২৫ এপ্রিল লিগ শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফে।