এবারের বাণিজ্য মেলায় প্রায় ৩০ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (৩০০ কোটি টাকা) রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে। এছাড়া, মেলায় আনুমানিক ১০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীর প্রতীক। বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আহমেদ বাবু। সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও মেলায় নির্মাণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। এ প্যাভিলিয়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ, স্বাধীনতা সংগ্রাম, উন্নত শিল্পসমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে তার অবদান ও ভাবনা ইত্যাদিকে সবার কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। প্যাভিলিয়নে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মভিত্তিক বিভিন্ন আলোকচিত্র প্রদর্শন ছাড়াও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত পুস্তকাদি এবং তার জীবন ও কর্মভিত্তিক তথ্যচিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মেলা ঢাকা থেকে দূরে নয়। মেলায় সাধারণ দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত পর্যাপ্ত সংখ্যক বিআরটিসির ডেডিকেটেড শাটল বাস রাখা হয়।
টিপু মুনশি বলেন, আমাদের এ বছর রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৬৭ বিলিয়ন ডলার। যে ৭ মাস অতিক্রম করেছে, এ সময় যে পরিমাণ রপ্তানি হয়েছে, তাতে আমরা আশা করছি, বছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারব।
তিনি বলেন, দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজন করা হচ্ছে, যা দেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে।
এবারের মেলার দেশি-বিদেশি মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ছিল। এর মধ্যে সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া, ভারতসহ ১০ দেশের ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।