চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ রানার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেছেন সাবিনা ইয়াসমিন নামে এক নারী। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধার কন্যা। এ মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞান আরও দু-তিনজনকে আসামি করা হয়।
সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর সোয়া ২টার দিকে মিরসরাই থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।
মামলায় ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ রানার বিরুদ্ধে মিরসরাইয়ের একটি হাসপাতালে গিয়ে চাঁদা দাবি, জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে সই নেওয়াসহ ভয়-ভীতি ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
মাসুদ রানা মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া গ্রামের মৃত রেজাউল করিমের ছেলে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মিঠানালা ইউপির ফকিরহাট এলাকার মো. তুরিন (২৭), পশ্চিম খৈয়াছড়া এলাকার ইউসুফ (২৮), খৈয়াছড়া এলাকার আবিব (৩৫), উত্তর আমবাড়িয়া এলাকার ইউপি সদস্য সোহেল (৩৫), বড়তাকিয়া চক্ষু হাসপাতালের বিক্রয়কর্মী মো. হাসান। এছাড়া অজ্ঞাত আরও দু-তিনজন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সাবিনা ইয়াসমিনের স্বামী জসিম উদ্দিন মিরসরাইয়ে বড়তাকিয়া চক্ষু হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গত শনিবার (১৩ আগস্ট) ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ রানাসহ ৮-৯ জন জসিমকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আটকে রেখে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়া তাকে মারধর করেন তারা।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, ‘মামলায় বাদী তার স্বামীকে মারধর, চাঁদা দাবি ও হুমকির অভিযোগ করেছেন। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ রানাসহ ছয়জনের নাম রয়েছে। আরও দু-তিনজন অজ্ঞাতনামা আসামি। মামলা তদন্ত করে প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নাছির উদ্দিন নামে মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতাকে বিবস্ত্র করে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাইনুর ইসলাম রানাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গত ২৭ জুলাই মামলা হয়।