#

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রথমবারের মতো গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হলেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। তিনি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা।

স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খানের চেয়ে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোট বেশি পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে রাত ১টা ৩০ মিনিটে ৪৮০টি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে মেয়র হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

নগরীর বঙ্গতাজ মিলনায়তনে স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে এই ঘোষণা হয়।

 

নির্বাচনে মোট ৪৮০টি কেন্দ্রের ফলাফলে দেখা যায়, টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।

তৃতীয় স্থানে থাকা ইসলামী আন্দোলনের গাজী আতাউর রহমান হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩৫২ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহনূর ইসলাম রনি (রনি সরকার) হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট।

গাজীপুরে মোট ৪৮০টি ভোট কেন্দ্রের প্রতিটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হয়। এই নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার। দুপুর পর্যন্ত ভোটের হার ৬০ শতাংশের মতো ছিল বলে নির্বাচন কর্মকর্তারা ধারণা দিয়েছিলেন।

বড় ধরনের গোলযোগ ছাড়াই বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৮টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। ভোট চলাকালীন বড় একটা অনিয়মের অভিযোগ আসে প্রার্থীদের কাছ থেকে। জাহাঙ্গীর অভিযোগ করেছিলেন, ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে।

তবে সব মিলিয়ে এই নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। জনগণ ও ভোটাররা সন্তুষ্ট। প্রার্থীরা সন্তুষ্ট। আপনাদের প্রতিনিধিরা (সাংবাদিক) সন্তুষ্ট। গণমাধ্যমেই তারা এ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।’

 

 

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন