বরিশালে এক সঙ্গে জন্ম নেওয়া তিন কন্যাশিশু স্বপ্ন, পদ্মা ও সেতুর বাবা ও মাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের পক্ষ থেকে মিষ্টি ও নগদ আর্থিক সহায়তা শিশুর বাবা বাবু সিকদারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) রাতে জেলা প্রশাসকের পক্ষে সহকারী কমিশনার (নেজারত) সুব্রত বিশ্বাস ফুলের তোড়াসহ উপহার সামগ্রী বাবু সিকদার ও নুরুন্নাহার বেগম দম্পতির হাতে পৌঁছে দিয়েছেন।
জানা গেছে, বরিশাল নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সকালে তিন কন্যাশিশুর জন্ম দেন বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা নুরুন্নাহার বেগম।
তিনি বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের বাদল পাড়া এলাকার বাসিন্দা সুলতান সিকদারের ছেলে বাবু সিকদারের স্ত্রী। বাবু সিকদার পেশায় ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলচালক।
জেলা প্রশাসকের উপহার তুলে দেওয়ার পর ‘সহকারী কমিশনার সুব্রত বিশ্বাস জানিয়েছেন, একই সঙ্গে তিন কন্যাশিশুর জন্ম ও স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নামকরণ করা একটা অভিভূত হওয়ার বিষয়।
জেলা প্রশাসক এ খবর শুনে বিষয়টি আরও স্মরণীয় রাখতে বাবা-মাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বাবা-মায়ের আর্থিক অস্বচ্ছলতার বিষয়টি জেনে অর্থ সহায়তা পাঠিয়েছেন। ভবিষ্যতে তাদের পাশে থাকবেন জেলা প্রশাসক।
এ সময় প্রসূতি অস্ত্রোপচারকারী সার্জন ডা. মুন্সী মুবিনুল হক জানিয়েছেন, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ রোগীকে বিশেষ ছাড় দেবে। তার পক্ষ থেকে রোগীর সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিন।
তিনি জানান, তিন শিশু সুস্থ থাকলেও তাদের পর্যবেক্ষণের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউ নেটাল ওয়ার্ডে নিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের মা ক্লিনিকে রয়েছেন।
এদিকে শিশুদের বাবা জানিয়েছেন, তার স্ত্রী ও সন্তানরা আল্লাহ রহমতে ভালো রয়েছেন। তিন সন্তানের মধ্যে যে প্রথমে পৃথিবীর আলো দেখেছেন তার নাম স্বপ্ন, এরপরের জনের নাম পদ্মা ও সবার শেষে ভূমিষ্ট হওয়া শিশুটির নাম সেতু। সেতুর শারীরিক ওজন ১ কজি ৪০০ গ্রাম আর বাকি দুজনের ওজন দেড় কেজি করে।