বরিশালে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ও নৌ নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটানোয় অভিযোগে ৪টি বিলাসবহুল লঞ্চকে ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (৭ এপ্রিল) রাতে বরিশাল নদী বন্দরে এই অভিযান চালানো হয়।
বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে বিশেষ সার্ভিসের শনিবার দুপুর থেকেই লঞ্চঘাটে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হওয়াতে নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা আগে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে লঞ্চগুলোকে নদীবন্দর ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। এ সময় অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ও নৌ নিরাপত্তা আইন ভঙ্গ করায় কীর্তনখোলা লঞ্চকে ১ লাখ, সুন্দরবনকে ১০ হাজার, পারাবাতকে ৬ হাজার এবং কুয়াকাটা লঞ্চকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান জানান, যেসব লঞ্চকে অনিয়মের জন্য জরিমানা করা হয়েছে তাদের জরিমানা আদায়ের সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিএ যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। বরিশাল নদী বন্দরে কোনো অনিয়ম হয়নি, আর হবেও না।’
এদিকে কর্মস্থলে ফেরা মানুষ যাতে নিরাপদে যেতে পারে সে লক্ষ্যে দুপুর থেকে বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট- আরাফাত হোসেন, মুশফিকুর রহমান, তরিকুল ইসলাম ও জাভেদ হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
প্রসঙ্গত, শনিবার বরিশাল থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে ১৯টি লঞ্চ ছেড়ে যায়। এর মধ্যে ৫টি ভায়া লঞ্চ রয়েছে। এ ছাড়া ডে সার্ভিসের ৩টি লঞ্চ বরিশাল স্টিমার ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে বিকেল ৩টার দিকে ছেড়ে গেছে।