২০২২ সালের ৩০ জুন থেকে পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু-মন্ত্রিপরিষদ সচিব

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

২০২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া বলে হবে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, এরই মধ্যে পদ্মা সেতুর ৮৭ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি, ৩০ জুন (২০২২) বা তার আশপাশের সময়ে ইনশাআল্লাহ যান চলাচল ওপেন করে দেওয়া হবে।

সভায় মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০২০-২১ অর্থবছরের কার্যাবলী সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গত ১৯ অক্টোবর থেকে পদ্মা সেতুর সড়কপথে পানি নিরোধক রাসায়নিকের স্তর তৈরির কাজ শুরু হয়। চার মিলিমিটার পুরুত্বের এ স্তরকে প্রকৌশলীরা ‘ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন’ নামে অভিহিত করছেন।

ইংল্যান্ড ও ইতালি থেকে এ স্তর তৈরির জন্য রাসায়নিক আমদানি করা হয়েছে। সড়কপথে পানি নিরোধক রাসায়নিকের স্তর বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। তারপর শুরু হয়েছে কার্পেটিং।

পদ্মা সেতুতে কার্পেটিংয়ের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি)।

এদিকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু যান চলাচলের উপযোগী করতে চূড়ান্ত পর্যায়ে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে সড়কপথের শেয়ার পকেটের কাজ শেষ হয়েছে। চারলেন সেতুর মাঝখানে ডিভাইডার চার কিলোমিটার সম্পন্ন হয়েছে। ৬ দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর সড়কপথের ৫ হাজার ৮৩৪ শেয়ার পকেটই সম্পন্ন হয়েছে।

গত বছরের ১০ ডিসেম্বর সর্বশেষ স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর পুরোটা দৃশ্যমান হয়। এর ফলে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরাকে যুক্ত করেছে পদ্মা সেতু।

এর আগে মূল সেতুর ঠিকাদার চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির (এমবিইসি) সঙ্গে চুক্তি অনুসারে প্রথমে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সেতুটি চালুর সময়সীমা ঠিক করা হয়েছিল। এরপর ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। সর্বশেষ সরকারি ঘোষণায় আগামী বছর জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু চালুর কথা বলা হয়েছিল।

এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর ব্যয় ধরা আছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। ২০০৭ সালে পদ্মা সেতুর প্রকল্প নেওয়া হয়। তখন ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। কাজ শেষ করার কথা ছিল ২০১৫ সালে। এরপর তিনবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।