মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড হতে পারে।
তার আইনজীবী দলের প্রধান মো. মজিবুর রহমান জানান, যেসব ধারায় ওই মামলা দায়ের করা হয়েছে, তার কোনোটিতেই পাঁচ বছরের বেশি কারাদণ্ডের বিধান নেই।
এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পরীমনির ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার মামলা নিয়ে আলোচনার মধ্যেই গত ৪ অগাস্ট তার বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব।
পরীমনির সঙ্গে তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকেও সেদিন গ্রেপ্তার করা হয়।
পরদিন তাদের বনানী থানায় হস্তান্তর করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে র্যাব। র্যাবের করা জব্দ তালিকায় পরীমনির বাসা থেকে ১৮.৫ লিটার বিদেশি মদ, চার গ্রাম আইস, এক স্লট এলএসডি এবং একটি পাইপ উদ্ধারের কথা বলা হয়।
ওই মামলায় পরীমনি ও দীপুকে প্রথম দফায় চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আরও দুদিন রিমান্ডে পেয়েছে এ মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি।
ঢাকার মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস মঙ্গলবার এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তবে শুনানি শেষে এজলাস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় পরীমনি দাবি করেন, ‘আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে।’
র্যাবের করা এ মামলায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) এর সারণি ২৪ (খ)/৩৬(১), সারণি ২৯(ক)/৩৬ (১), সারণি ১০ (ক)/৪২(১)/৪১ ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
৩৬ (১) এর সারণি ২৪ (খ) ধারায় বলা হয়েছে, মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১০ কেজি বা ১০ লিটারের বেশি এবং ১০০ কেজি বা ১০০ লিটারের কম হলে কমপক্ষে তিন বছর ও সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
৩৬ (১) এর সারণি ১০ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, মাদকদ্রব্যের পরিমাণ সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম বা মিলিলিটার হলে কমপক্ষে এক বছর ও সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড হতে পারে।
৪২ (১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি এ আইন অথবা বিধির কোনো বিধান লঙ্ঘন করেন, যাতে স্বতন্ত্র কোনো দণ্ড নেই, তাহলে তিনি ওই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
আর ৪১ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি মাদক আইনে বর্ণিত কোনো অপরাধ করতে কাউকে প্ররোচনা দিলে অথবা সাহায্য করলে অথবা কারও সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে অথবা এ উদ্দেশ্যে কোনো উদ্যোগ অথবা চেষ্টা করলে অপরাধ সংঘটিত হোক বা না হোক, তিনি সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের মতো দণ্ড পাবেন।