#

করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পরে ক্রেতারা এখন পর্যন্ত ২৯১ কোটি মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাকের রফতানি বা ক্রয়াদেশ বাতিল করেছেন। বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক।

বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, প্রতি মুহূর্তে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের ক্রেতারা ক্রয় আদেশ স্থগিত করছে। তবে আমাদের জন্য এটি স্থগিত নয় বাতিল।

সব শেষ তথ্য অনুযায়ী, ১ এপ্রিল সকাল ১০টা পর্যন্ত দেশের তৈরি পোশাক খাতের এক হাজার ৬৮টি কারখানার রফতানি আদেশ বাতিল ও স্থগিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ-এর সভাপতি বলেন, বর্তমানে তৈরি পোশাক খাত গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। একের পর এক পোশাক কারখানার ক্রয়াদেশ বাতিল হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সামনে এ খাত ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে। তাই কঠিন এ সংকটময় মুহূর্তে বায়ারদের ক্রয় আদেশ স্থগিত না করার আহ্বান জানিয়েন পোশাক মালিকরা।

পোশাক কারখার ওয়েবসাইটের দেয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পোশাক মালিকদের এ নেতা জানান, এখন পর্যন্ত ৯২ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজারটি পোশাক পণ্যের আদেশ বাতিল হয়েছে। যার আর্থিক পরিমাণ ২ দশমকি ৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ২৪ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা, বিনিময় হার ৮৫ টাকা ধরে)।

রফতানি আদেশ বাতিল হওয়া এসব কারখানায় ২১ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করেন বলে জানান বিজিএমইএর সভাপতি।

দেশের রফতানি খাতের সিংহভাগ তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরশীল। তাই এ খাতের নেতিবাচক প্রভাব পুরো রফতানি বাণিজ্যে আঘাত হানে।

চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের আট মাস (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) সময়ে পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ২ হাজার ১৮৪ কোটি ৭৪ লাখ ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ কম।একই সময়ে রফতানি প্রবৃদ্ধিও কমেছে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

এদিকে পোশাক ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে আমেরিকা, ইউরোপ ও কানাডা লকডাউন হয়ে আছে। ফলে প্রত্যেক দেশের ক্রয় আদেশগুলো স্থগিত করে বার্তা পাঠাচ্ছে সেসব দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে করে বড় সংকটের মুখে পোশাক খাত। ঝুঁকিতে পড়বে পুরো রফতানি বাণিজ্য।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন