বরিশালে ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ২০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বর্ন্যঢ্য র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টায় নগরীর ফজলুল হক এ্যাভিনিউ সড়ক সিটি কর্পোরেশনের মোড়ে এক বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড, গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলালের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সংসদ সদস্য এ্যাড, তালুকদার মোং ইউনুস।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন এক সময়ের অশান্ত পার্বত্য অঞ্চলে দিনে রাতে কোন মানুষ রক্তের হোলী খেলায় মেতে থাকত। জীবন হাতে নিয়ে বসবাস করতে হত। বর্তমান প্রধান মন্ত্রী তৎকালীন সময়ে ক্ষমতায় এসে পাহারীদের স্বাভাবীক জিবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্ঠা চালায়। সে সময়ে এর দায়ীত্ব পালন করেন সাবেক চীফ হুইফ বরিশাল জেলা আওয়ামীগ সভাপতি বরিশাল বিভাগ আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক অবিভাবক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ। ১৯৯৭সালের ২ইডিসেম্বর শান্তি’র চুক্তির মাধ্যমে অশান্ত পাহারী অঞ্চলে শান্তি কায়েম করা হয়।
তিনি এসময় আরো বলেন কেহ যদি মনে করে থাকে দেশে নৈরাজ্য, অরজগতা, বোমাবাজী করে ক্ষমতায় আসবে তাহলে ভুল করবে বাংলার মানুষ আর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না।মানুস এখন শান্তি চায় চায় উন্নয়ন। বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে তা বিশ্ব মহল স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে। এসময়ে মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন মহনগর আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক এ্যাড.একে এম জাহাঙ্গির হোসেন,জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মসিউর রহমান মিন্টু, সৈয়দ আনিছুর রহমান, অধ্যক্ষ আঃ রসিদ খান, মাহাম্মদ হোসেন চৌধুরী, এ্যড. হেমায়েত হোসেন,এ্যাড. সৈয়দ গোলাম মাসউদ বাবলু,এ্যাড. মুনসুর আহমেদ, বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আলহাজ সাইদুর রহমান রিন্টু, মহনগর সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম তোতা, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন, ফজলুল করীম শাহিন, মহানগর যুবলীগ নেতা এ্যাড. রফিকুল ইসলাম খোকন। নেতৃবৃন্দ ছাড়াও জেলার সকল উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, মুক্তিযুদ্বা সংসদসহ বিভিন্ন দলীয় অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা সমাবেশ বর্ন্যাঢ্য র্যালিতে অংশ নেয়। এর পর্বে বেলুন ফেষ্ঠুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন এ্যাড, তালুকদার মোঃ ইউনুস এমপি।
পরে নগরীতে হাতি-ঘোড়ার গাড়ি সহ বিভিন্ন ডিস প্লে প্লাকার্ড ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে এক বর্ন্যঢ্য র্যালি বেড় হয় র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়ক দক্ষিন করে পুনরায় সমাবেশ স্থলে এসে শেষ করে। উল্লেখ্য ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তি দিবসটি ২ই ডিসেম্বর পালন করার কথা থাকলেও ঈদ-ই মিলাদুননবী দিবসের আওয়ামীলীগের কর্মসূচি পিছিয়ে দেয়া হয়।