৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত বরিশাল

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

দীর্ঘ ছয় বছর পর বরিশাল সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই সফরকে কেন্দ্র করে বরিশাল এখন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। তোরণ নির্মাণ ও ব্যানার ফেস্টুনে ছেঁয়ে গেছে পুরো নগরী।

প্রধানমন্ত্রী বরিশালের ঐতিহসিক বঙ্গবন্ধু উদ্যানের জনসভা মঞ্চ সাজানোর কাজ চলছে পুরো দমে। বরিশালবাসী অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তাকে বরণ করে নিতে।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর এই সফর সফল করে তুলতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দলীয় সভানেত্রীর জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে বরিশাল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন উদ্যোগও গ্রহণ করেছেন।

বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল জানান, ১০টি নৌকা তৈরি করা হয়েছে যা জনসভাস্থল সংলগ্ন ডিসি লেকে ভাসমান অবস্থায় থাকবে। এছাড়া শতাধিক নৌকার প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়েছে, যা জনসভাস্থলের চারদিকে সাটানো হবে।

প্রধানমন্ত্রী জনসভাস্থলে যাওয়ার পথে চিত্রাংকন করা হয়েছে বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের।

বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত জানান, সাজসজ্জা তো চলছেই। চলছে প্রচারণার কাজও। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে রাতভর কাজ করছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক গোলাম সরোয়ার রাজীব জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন বার্তা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছি আমরা। সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তালিকা করে এলাকাভিত্তিক মাইকিং করা হচ্ছে। জানান দেয়া হচ্ছে- এই সরকার জনগণের পক্ষের সরকার।

বরিশাল জেলা আওয়ামী  লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুচ বলেন, নগরী বাদেও বরিশাল বিভাগজুড়েই চলছে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করার প্রস্তুতি। সবাই জোট বেঁধেছে বরিশালের জনসভা সর্ববৃহৎ জনসভা উপহার দেয়ার।

বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান জানান, বরিশালের বাকেরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে শেখ হাসিনা সেনানিবাসের উদ্বোধন করবেন। সেখানে তিনি পটুয়াখালীর আরো ১৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ১টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে বিকাল ৩টায় বরিশালের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জনসভায় অংশগ্রহণ করবেন। সেই সাথে ৪০টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৩৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য এবং পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এ অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। তাই এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসবে। ৩ থেকে ৫ লাখ মানুষ বরিশালের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু উদ্যানে সমবেত হবে বলে আশা করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ৫ সেক্টরে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার এস এম রুহুল আমিন জানান, নিরাপত্তার কাজে দেড় হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও দায়িত্বে থাকবে র‌্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।

এদিকে ট্রাফিকব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতোমধ্যে রোড ম্যাপও প্রণয়ন করা হয়েছে। সেই মাফিক যানবাহন চলাচল করবে।

অপরদিকে জনসভায় আগত মানুষদের বহনকারী যানগুলো রাখার জন্য কয়েকটি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।