স্বাধীনতা যুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা পিরোজপুর। মহান এ যুদ্ধে জেলায় নিহত হয় ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ। সম্ভ্রম হারান আরো অনেক মা বোন। দীর্ঘ নয় মাসের এ যুদ্ধ শেষে ডিসেম্বরের ৮ তারিখ পিরোজপুর হয় হানাদার মুক্ত।
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে নির্মম হত্যাযজ্ঞের স্বাক্ষী হয় পিরোজপুর। পাক হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসররা নিরীহ মানুষকে ধরে পিরোজপুরের শহরের পার্শবর্তী বলেশ^র নদীর খেয়াঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে হত্যা করে।
আর ৮ ডিসেম্বর থেকে পাক বাহিনীর নির্মম নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ থেকে পুরোপুরি মুক্ত হয় এ জেলা শহরটি। দেশের বিভিন্ন স্থান স্বাধীন হওয়ার খবরে পিরোজপুর থেকে পালিয়ে যায় পাক সেনারা।
এরপর ৮ ডিসেম্বর ৯ নং সেক্টরের অধীন সুন্দরবন এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধারা বিনা বাধায় পিরোজপুর শহরের দখল নেয়। এরপরই পুরোপুরি মুক্তির স্বাদ পায় পিরোজপুর।
তবে স্বাধীনতার এই দীর্ঘ দিন পরও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন ওঠায় ক্ষুব্ধ মুক্তিযুদ্ধে সক্রিকয়ভাবে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধাদের দাবী স্বাধীনতার চেতনাকে বাস্তবায়ীত করার পাশাপাশি নতুন প্রযন্মের কাছে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে তাদের জানানোর জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসহ সকল প্রকার বদ্ধভূমি সংরক্ষন করা হোক।