এশিয়া কাপ দলে হুট করে সাব্বির রহমানকে সুযোগ দিয়ে নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছিলেন, ‘আমাদের তার ওপর ভরসা আছে। অভিজ্ঞতা বিবেচনায় তাকে দলে ফেরানো হয়েছে।’
ঘরোয়া কোনও আসরে পারফর্ম না করেই তিন বছর পর সাব্বির দলে ফেরায় প্রশ্ন উঠছিল বেশ। তবে সেই বিতর্ক থামানোর সুযোগ ছিল সাব্বিরের। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আজ বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন এ ব্যাটসম্যান। স্বাগতিক ‘এ’ দলের বিপক্ষে রান পেলেই সব আলোচনা থেমে যেত।
কিন্তু ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৬ বলে ৩ রানে আউট হয়ে সেই বিতর্ক আরও উসকে দিলেন। পেসার জাস্টিনের শর্ট বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। মনে হচ্ছিল উইকেটরক্ষক জসুয়া ডি সিলভাকে অনুশীলন করাচ্ছিলেন সাব্বির!
শুধু সাব্বির কেন, ক্যারিবীয় পেসারদের শর্ট বলে সমস্যা হচ্ছিল সব ব্যাটসম্যানদের। তাই তো আগে ব্যাটিং করতে নেমে ২৩.২ ওভারে ৮০ রানে অলআউট বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলের শুরুটা হয় নাঈম শেখের হাত ধরে। ইনিংসের দ্বিতীয় বল ছিল অফস্টাম্পের এক হাত বাইরে। দুই পা এক জায়গায় স্থির রেখে শরীরের বাইরের বল কাট করতে গিয়ে ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে।
চার দিনের ম্যাচে ভালো করলেও সাইফের ব্যাট আজ হাসেনি। পেসার ফিলিপের গুড লেন্থ বল ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৬ রানে।
দুই চারে সৌম্য সরকার ভালো কিছু করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই শর্ট বলেই শেষ তার ইনিংস। পেসার ফিলিপ তাকে শর্ট বলে লাগাতার পরীক্ষা নেন। ধৈর্য হারিয়ে একটি শর্ট বল পুল করেছিলেন। মিস টাইমিংয়ে বল চলে যায় শর্ট মিড উইকেটে। ১৫ রানে শেষ তার ইনিংস।
অধিনায়ক মিঠুন হতাশ করেন উইকেটের পেছনে শর্ট বলে ক্যাচ দিয়ে। পুল করতে চেয়েছিলেন জাস্টিনের বল। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় জসুয়া ডি সিলভার হাতে। অধিনায়ক ফেরেন ১২ রানে। এরপর বাকিরা কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। সাব্বির (৩), জয় (৪), মৃত্যুঞ্জয় (০) প্রত্যেকেই ফিরেছেন শর্ট বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।
শেষ দিকে জাকের আলীর ৪১ বলে ২৫ রানে বাংলাদেশের রান আশির ঘর স্পর্শ করে। নয়তো ফিফটির আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জেগেছিল। বল হাতে ক্যারিবীয়ানদের সেরা জাস্টিন। ২৫ রানে নেন ৪ উইকেট। এ ছাড়া অ্যান্ডারসন ও শিমরন ২টি করে উইকেট পান।