৭৬ হাজার টন টমেটো আমদানির কারণ জানতে চান কৃষিমন্ত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

বাংলাদেশে টমেটোর ভালো ফলন হলেও কেন বছরে ৭৬ হাজার টন টমেটো আমদানি করতে হয় তার কারণ জানতে চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

রোববার (২৪ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়িতে বিএআরসি মিলনায়তনে বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী এ প্রশ্ন করেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশে শীতকালের পাশাপাশি সামার টমেটোরও ভালো ফলন হয়। তাহলে কেন ৭৬ হাজার টন টমেটো আমদানি করতে হচ্ছে? অনেকে আবার কেচাপ তৈরির জন্য টমেটোর পেস্ট আমদানি করছে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা, বীজ উৎপাদনকারী ও আমদানিকারকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। একই সঙ্গে সারাবছর যাতে টমেটো উৎপাদন করা যায় সে মানের বীজ উৎপাদন ও বাজারজাতের নির্দেশনা প্রদান করেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন অনেক বীজ- যেমন ২৮ জাতের ধানবীজ। এটা এখন রিপ্লেস করা দরকার। কারণ একটা বীজ অনেকদিন ব্যবহার করা হলে ধীরে ধীরে এটার উৎপাদন কমে যাচ্ছে। এরকম অনেক জাতই এখন তুলে নেওয়ার সময় হয়েছে। বিজ্ঞানীরা রিল্পেসের চেষ্টা করছেন। তবে একটা রিপ্লেস মাঠে ছড়াতে অনেক সময় ৮-১০ বছর লাগে। এটাকে দুই তিন বছরের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। তা না হলে ভালো জাতের বীজ উৎপাদন করেও খুব একটা কাজে আসবে না।

তিনি বলেন, আমরা ভালো মানের বীজ উৎপাদনের স্বার্থে একটি সার্টিফিকেশন এজেন্সি করার পরিকল্পনা করছি। যেটা সম্পূর্ণ প্রযুক্তি ও বিজ্ঞাননির্ভর হবে।

অনুষ্ঠানে সারাদেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে ধানের বিভিন্ন জাতের বীজ তুলে দেওয়া হয়। সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জে মোট ১০ হাজার কেজি এবং টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটের কৃষকদের মাঝে ২০ হাজার কেজি বীজ বিতরণ করা হয়। সিড অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সবগুলো জেলার মোট ১৩৫২৫ জন কৃষককে এই বীজ প্রদান করা হয়। এই বীজগুলো মূলত আমন ধানের।